লালবাগে রেস্তোরাঁয় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, আহত ৯

সিলিন্ডারের বিস্ফোরণের পর রেস্টুরেন্টের সামনের এলাকা

রাজধানীর লালবাগ থানার চার রাস্তার মোড়ে শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকালে পাফিম মিনি চাইনিজ রেস্টুরেন্টে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে এক নারীসহ ৯ জন আহত হয়েছেন। তাদের সবাইকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে ভর্তি করা হয়। আহতদের মধ্যে সাত জনের শ্বাসনালী পুড়ে গেছে। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

ঢামেক হাসপাতালের আবাসিক সার্জন পার্থ শঙ্কর পাল বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, শ্বাসনালী পুড়ে যাওয়া আহতরা হলেন- সুনামউদ্দিন (৫০), পান্না (২৬), আবুল (৩২), মারুফ (২০), সবুজ (২০), মকবুল হোসেন (৪০) ও সাব্বির (২০)। তাদের মধ্যে আবুলের শরীরের ৮৫ শতাংশ, সবুজের ২০ শতাংশ, মারুফের ১৮ শতাংশ, মকবুলের ১৮ শতাংশ, সাব্বিরের ১৫ শতাংশ, সুনামউদ্দিনের ১৮ শতাংশ ও পান্নার শরীরের ২৪ শতাংশ পুড়ে গেছে। আব্দুল্লাহ ও ফয়সাল নামে বাকি দু’জন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন। 

গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধরা চিকিৎসাধীনপ্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে জানা যায়, পাফিম রেস্টুরেন্টের ভেতরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়। এ ঘটনায় আহতদের মধ্যে সবুজ ও মারুফ পাশের মিষ্টির দোকান মিঠাইয়ের দুই কর্মচারি। ওই সময় রেস্তোরাঁর আশপাশে থাকা সুনামউদ্দিন, ফয়সাল, আব্দুল্লাহ ও আবুল বাশার নামে চার রিকশাচালক আহত হন। এছাড়া মকবুল হোসেন নামে এক রিকশা যাত্রীও আহত হন। 

তবে লালবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘প্রত্যক্ষদর্শীরা দাবি করলেও গ্যাস সিলিন্ডারের বিস্ফোরণ হয়েছে কিনা তা তদন্ত না করে নিশ্চিত হওয়া যাবে না। ঘটনার পরপর আহতদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে কেউ মারা যায়নি।’

ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) বাচ্চু মিয়া বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, ‘লালবাগে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে আহতদের মধ্যে সাত জন ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন বলে আমরা খবর পেয়েছি।’

/এআইবি/এআরআর/আরজে/জেএইচ/টিআর/