ভিকারুননিসার বর্ধিত টিউশন ফি স্থগিতের আদেশ হাইকোর্টের

সুপ্রিম কোর্ট (ছবি: সংগৃহীত)ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অ্যাডহক কমিটির নির্ধারণ করা বর্ধিত টিউশন ফি এক বছরের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে অন্যান্য ফিও স্থগিতের আদেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির অ্যাডহক কমিটির বৈধতা নিয়েও রুল জারি করেছেন আদালত। সোমবার বিচারপতি জিনাত আরা ও বিচারপতি কাজী ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

রুলে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের ২০০৯ সালের প্রবিধানমালার ৩৯ অনুযায়ী ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অ্যাডহক কমিটি গঠন করা কেন বেআইনি ও অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না ,তা জানতে চাওয়া হয়েছে। ৪ সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষা সচিব, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান, ঢাকার জেলা প্রশাসকসহ ৯ জনকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অ্যাডহক কমিটি ও ওই কমিটি নির্ধারিত বর্ধিত টিউশনসহ অন্যান্য ফির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত ৭ মার্চ হাইকোর্টে একটি রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুস আলী আকন্দ। রিটে বলা হয়, ঢাকা বোর্ডের ২০০৯ সালের প্রবিধানমালার ৩৯ ধারায় বলা হয়েছে, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের কোনও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্ধারিত সময়ের মধ্যে গভর্নিং বডি বা ম্যানেজিং কমিটি পুনর্গঠনে ব্যর্থ হলে বা ভেঙে দেওয়া হলে অনধিক ছয় মাসের জন্য অ্যাডহক কমিটি গঠিত হবে। অথচ প্রবিধানমালার এই ধারাটি সংবিধানের প্রস্তাবনা ও ১১ অনুচ্ছেদ এবং ১৯৬১ সালের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক অধ্যাদেশের ৩৯ ধারার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। কারণ ওই অধ্যাদেশে অ্যাডহক কমিটি করার কোনও বিধান ছিল না। এরপরও অ্যাডহক কমিটি গঠন করা হয়েছে ও ওই কমিটির মাধ্যমে ভিকারুননিসা কর্তৃপক্ষ স্কুল পর্যায়ে মাসে ৩০০ ও কলেজ পর্যায়ে ৫০০ টাকা হারে বেতন বাড়িয়েছে। এছাড়া শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বার্ষিক ৫০০ টাকা 'হিতৈষী ভাতা' নেওয়া হচ্ছে। যেখানে অ্যাডহক কমিটি গঠনের বিধান নেই সেখানে ওই কমিটির বর্ধিত টিউশনসহ অন্যনা ফি নেওয়া আইনসম্মত হতে পারে না।
রিট দায়েরকারী আইনজীবী ইউনুস আলী আকন্দ আদেশের পর সাংবাদিকদের বলেন, ‘এডহক কমিটির মাধ্যমে ভিকারুন্নেসা নূন স্কুল অ্যান্ড কমিটি যে বর্ধিত বেতনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেটি স্থগিতের পাশাপাশি প্রাথমিক শুনানি নিয়ে, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড ঢাকার প্রবিধিমালা ২০০৯ এর ৩৯ ধারা কেন অবৈধ ঘোষণা হবে না, সেই রুল জারি করেছেন আদালত।’

ইউআই/এমএনএইচ/