আইন লঙ্ঘন বিষয়ে ব্যাখ্যা দিলেন দুই বিচারক, আদেশ বৃহস্পতিবার

আদালততথ্যপ্রযুক্তি আইনের এক মামলায় আসামির জামিনের আবেদন শুনানির জন্য গ্রহণ করা এবং না করার প্রশ্নে হাইকোর্টে লিখিত ব্যাখ্যা হাজির করেছেন ঢাকা সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক ও মাগুরার জেলা ও দায়রা জজ। বুধবার বিচারপতি মো. মিফতাহ উদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি এ এন এম বশিরউল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চে এই লিখিত ব্যাখ্যা দাখিল করা হয়। আদালত বৃহস্পতিবার আদেশের জন্য দিন ধার্য করেছেন।
বিচারক তার ব্যাখ্যায় বলেছেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৭১ ধারার বিধান মতে ট্রাইব্যুনাল অভিযুক্ত ব্যক্তির জামিন আবেদন শুনানি করার এখতিয়ারসম্পন্ন। কারণ, ইতোপূর্বে পৃথক চারটি মামলার আসামিকে সাইবার ট্রাইব্যুনালে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়ে জামিনের বিষয় নিষ্পত্তির আদেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। আইনের বিধান মতে এবং উচ্চ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী ট্রাইব্যুনাল জামিনের বিষয়টি নিষ্পত্তি করেছে। এরপরেও জামিনের বিষয়টি শুনানির জন্য গ্রহণ করে অনিচ্ছাকৃত কোনও ত্রুটি করে থাকলে ক্ষমা প্রার্থনা করা হলো।
অপরদিকে, মাগুরার জেলা ও দায়রা জজ তার ব্যাখ্যায় বলেছেন, ট্রাইব্যুনাল গঠনের পর আইনের ৭১ ধারার বিধান মতে দায়রা আদালত এ ধরনের মামলার জামিন আবেদন শুনানির জন্য আর গ্রহণের সুযোগ নেই। এ কারণে জামিন আবেদনটি গ্রহণ করা হয়নি শুনানির জন্য।

এর আগে গত ১৩ মার্চ তথ্যপ্রযুক্তি আইনের মামলার এক আসামির জামিন আবেদন শুনানির জন্য গ্রহণ করা না-করার প্রশ্নে দুই বিচারকের কাছে ব্যাখ্যা তলব করেন হাইকোর্ট। ওই আদেশ মোতাবেক ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. সাইফুল ইসলাম এবং মাগুরার জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুর রহমান হাইকোর্টে তাদের পৃথক ব্যাখ্যা দাখিল করেন।

আদালতে আসামি পক্ষে অ্যাডভোকেট আমিমুল এহসান জুবায়ের এবং রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ একেএম মনিরুজ্জামান কবির শুনানি করেন।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ এ কে এম মনিরুজ্জামান কবির সাংবাদিকদের বলেন, আইনুযায়ী যে কোনও মামলার বিচার আমলে নেওয়ার আগ পর্যন্ত ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের যে কোনও আদেশের বিরুদ্ধে দায়রা জজ আদালত শুনানি গ্রহণ করবেন। কিন্তু সংশ্লিষ্ট দায়রা জজ ওই জামিন আবেদন শুনানিতে মৌখিকভাবে অস্বীকৃতি জানান। অপরদিকে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের যে কোনও মামলা আমলে নেওয়ার আগ পর্যন্ত সাইবার ট্রাইব্যুনাল শুনানি করতে পারেন না। কিন্তু এ মামলা আমলে নেওয়ার আগেই সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শুনানি করেছেন। এসব বিষয়ে দুই বিচারকের কাছে ব্যাখ্যা চান হাইকোর্ট।
/ইউআই/টিএন/