ব্রিফিংয়ে সিটিটিসি প্রধান বলেন,‘অপারেশন চলাকালে জঙ্গিরা ১২টি বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকালের অভিযানের আগে মাইকে আত্মসমর্পণের জন্য জঙ্গিদের বারবার অনুরোধ জানানো হয়।আশেপাশের মানুষসহ আপনারা সেটি শুনেছেন। তারা ওই সময়টাতেই প্রচণ্ড বিস্ফোরণ ঘটায়।’
লাশগুলো বীভৎস অবস্থায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে আছে বলে জানান মনিরুল ইসলাম। তিনি বলেন,‘কিছুক্ষণ আগে আস্তানাটিতে প্রবেশ করা সম্ভব হয়। প্রবেশমুখে গ্রেনেড,শক্তিশালী বোমা ছড়ানো ছিটানো ছিল। শক্তিশালী বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে তারা।কাল (বুধবার) সোয়াট প্রথম অভিযান শুরু করলে, পালানোর পথ নাই দেখে জঙ্গিরা সম্ভবত সপরিবারে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আত্মহনন করেছে। সে এক বীভৎস চিত্র। ধারণা করা যাচ্ছে, সেখানে সাত- আটটি ডেড বডি হতে পারে। সেগুলো ক্রাইম সিন মিলিয়ে নিচ্ছে।’
উল্লেখ্য, জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) রাত থেকে মৌলভীবাজার পৌরসভার বড়হাট এলাকায় একটি বাড়ি এবং খলিলপুর ইউনিয়নের সরকার বাজার এলাকার নাসিরপুর গ্রামের একটি বাড়িতে জঙ্গি আস্তানার সন্ধান পেয়ে ঘিরে রাখে পুলিশ ও সিটিটিসি। বুধবার সন্ধ্যায় নাসিরপুরের আস্তানায় অভিযান শুরু করে সোয়াট।পরে আলোর স্বল্পতার কারণে রাতে অভিযান স্থগিত রাখা হয়। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার পরে পুনরায় অভিযান শুরু করে সোয়াট। শহরের বড়হাট এলাকার জঙ্গি আস্তানাটি এখনও ঘিরে রেখেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
/আরজে/এপিএইচ/
আরও পড়ুন:
‘দেহ ছিন্নভিন্ন হওয়ায় জঙ্গিদের সঠিক সংখ্যা এখনই বলা যাচ্ছে না’