সমাবেশে শ্রমিকরা অভিযোগ করেন, শ্রমিকদের নিরাপত্তায় চুক্তি অনুযায়ী নিয়োগপত্র ও প্রত্যয়নপত্র দেওয়ার কথা থাকলেও তা বাস্তবায়ন করেনি মালিকরা। একইসঙ্গে তাদের স্বার্থ নিয়ে কেউ ভাবেনি উল্লেখ করে শ্রমিক নেতারা বলেন, হাজারীবাগের ৬০ থেকে ৭০ একর জমিতে যে কারখানাগুলো ছিল, তাদের জন্য সাভারে ২শ একর জমির ব্যবস্থা করা হয়েছে। অথচ শ্রমিকদের আবাসনের কোনও ব্যবস্থা সেখানে নেই, নেই চিকিৎসা ও বিনোদনের সুবিধা।
হাজারীবাগের ট্যানারি মোড়ে শ্রমিক সমাবেশটি আয়োজন করে ট্যানারি ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন ও চামড়া শিল্প রক্ষা ঐক্য পরিষদ। চামড়া শিল্পের শ্রমিকদের পাশাপাশি মালিকপক্ষের প্রতিনিধিরাও এতে বক্তব্য রাখেন। এসময় মালিকপক্ষকে পুরোপুরি বিশ্বাস করা যায় কিনা, সে প্রশ্ন তোলেন শ্রমিক নেতারা।
সমাবেশে ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শাহীন আহমেদ শ্রমিকদের দাবির বিষয়ে বলেন, ‘চুক্তি অনুযায়ী শ্রমিকদের নিয়োগপত্র ও প্রত্যয়নপত্র দিতে হবে। যেসব মালিক তা মানবেন না, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। চুক্তিতে আমাদের নিরাপত্তা দেওয়ার কথা থাকলেও তা দেওয়া হয়নি।’
সমাবেশে মালিকপক্ষের উপস্থিতি নিয়েও অসন্তোষ জানান শ্রমিকরা। তবে উপস্থিত মালিকদের বক্তব্য রাখার সুযোগও দেওয়া হয় সমাবেশে। এসময় বাংলাদেশ ফিনিশড লেদার গুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ মাহিন বলেন, ‘এখন আমাদের সবার বিপদ। সেখান থেকে উত্তরণের জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আগের চেয়ে অনেক দ্রুত গতিতে সমস্যার সমাধান করতে হবে।’
বক্তৃতায় ট্যানারি ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক বলেন, ‘আগের চুক্তি বাস্তবায়ন না করে, শ্রমিক ছাটাই করে ঐক্য পরিষদের নয় দফা দাবি বাস্তবায়ন কখনোই সম্ভব হবে না।’
/এমটি/ইউআই/টিএন/