তথ্যপ্রমাণ ও সাক্ষী হাজির করতে না পারায় খালাস পেলেন এরশাদ

 

আদালতে এরশাদতথ্যপ্রমাণ ও সাক্ষী হাজিরে রাষ্ট্রপক্ষের ব্যর্থতার কারণেই রাডার ক্রয় দুর্নীতি মামলায় খালাস পেয়েছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদসহ তার সহযোগীরা। রায়ে বিচারক বলেছেন, ‘কোন আসামি কিভাবে এই রাষ্ট্রীয় টাকা আত্মসাত করেছেন, সেটা প্রসিকিউশনের সাক্ষীদের বক্তব্যে আসেনি। ফলে তাদের (আসামিদের) বিষয়ে সিদ্ধান্তে আসেনি আদালত।’

ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ কামরুল হোসেন মোল্লা বুধবার মামলার রায় ঘোষণাকালে এসব কথা বলেন। মামলার চার আসামির মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত এরশাদ ছাড়াও বিমান বাহিনীর দুই সাবেক প্রধান মমতাজ উদ্দিন আহমেদ ও সুলতান মাহমুদ রায়ের সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আদালত বলেন, ‘কোন আসামি কিভাবে এই রাষ্ট্রীয় টাকা আত্মসাত করেছেন তার তথ্যপ্রমাণ না থাকার কারণে এই অভিযোগ সন্দেহের উদ্রেক করে।’

আদালত আরও বলেন, ‘এই মামলার তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী ছিলেন তৎকালীন প্রতিরক্ষা সচিব এম এ আনিসুজ্জামান, তৎকালীন মন্ত্রী আলতাফ হোসেন চৌধুরী। তাদের সাক্ষ্য নেওয়া হয়নি। এ কারণে সন্দেহাতীতভাবে রাষ্ট্রপক্ষ মামলা প্রমাণে ব্যর্থ হয়েছে।’

রায় ঘোষণার সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন খালাস পাওয়া আসামি সুলতান মাহমুদ। তার আইনজীবী শামসুদ্দীন বাবুল বলেন, ‘এই মামলার কারণে সুলতান মাহমুদ পেনশনসহ সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। তিনি অনেক ক্ষতির মুখে পড়েছেন। কেবল রাজনৈতিকভাবে  ঘায়েল করার জন্যই তাকে এ মামলায় আসামি করা হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত এই মিথ্যা অপবাদ থেকে মুক্তি পেয়েছেন তিনি।’

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মীর আহমেদ আব্দুস সালামের কাছে জানতে চাওয়া হয়, এ রায়ের বিরুদ্ধে তারা উচ্চ আদালতে আপিল করবেন কিনা। জবাবে তিনি বলেন, ‘দুর্নীতি দমন কমিশন এই মামলাটি চালিয়েছে। কমিশন যে সিদ্ধান্ত নেবে সেটাই করা হবে।’

ছবি- নাসিরুল ইসলাম

/ইউআই /এপিএইচ/

আরও পড়ুন: রাডার মামলায় এরশাদ খালাস