বিএসএমএমইউ’তে চালু হবে জরুরি বিভাগ

মতবিনিময় অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খানক্যানসার আক্রান্ত রোগীদের জন্য স্বয়ংসম্পূর্ণ বোন ম্যারো ট্রান্সপ্ল্যানটেশন চালু করা, সি ব্লকে আরও ১৭ শয্যার আইসিইউ ও এইচডিইউ চালু এবং শিশুদের জন্য আইসিইউ চালু করার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান। সোমবার (২৪ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজ কক্ষে হেল্থ রিপোর্টার্স ফোরামের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানান তিনি।
বিএসএমএমইউ উপাচার্য আরও জানান, হাসপাতালের সাধারণ জরুরি বিভাগ চালুর টেন্ডার কার্যক্রম চলছে, আগামী তিন মাসের মধ্যে এটি চালু করা সম্ভব হবে বলে আশা তার। তিনি বলেন, ‘আমরা ২৪ ঘণ্টা চিকিৎসা নিশ্চিত করেছি। এখন চিকিৎসকদের উপস্থিতি নিশ্চিত করার জন্য কাজ যাচ্ছি।’
হাসপাতালের ল্যাবরেটরি ২৪ ঘণ্টা চালু রাখার কথা জানিয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান বলেন, ‘বর্তমানে এখানে ২৪ ঘণ্টা স্যাম্পল কালেকশন করা হলেও রিপোর্ট দিতে পারছি না, কিন্তু এ সীমাবদ্ধতাও আমরা রাখবো না।’

জানা গেছে, বিএসএমএমইউ’তে গত পাঁচ বছরে (২০১১ থেকে ২০১৬ সালের অক্টোবর পর্যন্ত) গবেষণা কাজ হয়েছে মোট ১ হাজার ৪৪৭টি। এর মধ্যে কেবল গত দুই বছরে সম্পন্ন হয়েছে ৭৪৩টি গবেষণা। প্যাডিয়াট্রিক কার্ডিওলজি, প্যালিয়েটিভ মেডিসিন, চাইল্ড অ্যান্ড অ্যাডলোসেন্ট মেন্টাল হেল্থ এবং প্যাডিয়াট্রিক নিউরোলজি অ্যান্ড নিউরো ডেভেলপমেন্টসহ বর্তমানে ৯১টি পোস্ট গ্র্যাজুয়েট বিষয় চালু রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএসএমএমইউ উপাচার্য।

হাসপাতালের ফার্মেসি বিভাগ দুর্বল হওয়ায় রোগীদের ওষুধ কিনতে বাইরে যেতে হয় উল্লেখ করে অধ্যাপক কামরুল হাসান খান বলেন, ‘সরকারের সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সংস্থাগুলোর সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি হয়েছে, তাদের সহযোগিতায় হাসপাতাল অঙ্গনে অন্তত দুটি ফার্মেসি স্থাপন করা হবে। এর ফলে গভীর রাতেও প্রয়োজন হলে রোগী কিংবা স্বজনদের হাসপাতাল কম্পাউন্ডের বাইরে যেতে হবে না।’

একই সঙ্গে বিএসএমএমইউ’র হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাজের সুবিধার জন্য একটি ডে-কেয়ার সেন্টার গড়ে তোলা হচ্ছে। দেশে প্রথমবারের মতো এমএসসি ইন নার্সিং কোর্স চালু করার কথাও জানান বিএসএমএমইউ উপাচার্য।

/জেএ/জেএইচ/