ইউপি সদস্যসহ আটক ৫ জনের তথ্যে শিবনগরে জঙ্গি আস্তানায় অভিযান!

চাঁপাইনবাবগঞ্জে জঙ্গি আস্তানায় অভিযানচাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার কানসাট ইউনিয়নের ইউপি সদস্যসহ আটক পাঁচ জনের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে শিবনগর এলাকায় জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। তবে আটকের বিষয়ে জেলা পুলিশ ও কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের কর্মকর্তারা কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি।

শিবগঞ্জের কানসাট ইউনিয়নের শিবনগরের মোন্নাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা শফিকুল আলম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন,‘বুধবার ভোরে তার প্রতিবেশী গোলাম মোস্তফা ওরফে ভাসানী মেম্বারের (৬৩) বাড়িতে পুলিশ তল্লাশি চালায়। ওই বাড়ির নারী ও শিশুদেরও ঘুম থেকে তুলে জিজ্ঞাসাবাদ করেন পুলিশ কর্মকর্তারা। তবে মেম্বারের বাড়ি থেকে সন্দেহজনক কিছু পায়নি পুলিশ।’

শফিকুল বলেন, ‘‘তিনি গ্রামে কৃষিকাজ করেন। বুধবার ভোরে যখন পুলিশের কয়েকটি গাড়ি তার বাড়িসহ একাধিক বাড়ি ঘিরে ফেলে তখন তারা জেগে ওঠেন। এ সময় পুলিশ সদস্যরা ঘরে তল্লাশি শুরু করেন। পরে পাশের বাড়ির বাসিন্দা ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ভাসানী মেম্বারের বাড়িতে পুলিশ তল্লাশি চালায়। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে পুলিশ সদস্যরা বলেন, ‘তোমরা জঙ্গিদের আশ্রয় দিচ্ছো। জঙ্গি পুষছো।’ এ সময় আমাদের জাতীয় পরিচয়পত্রসহ বিভিন্ন কাগজপত্র দেখতে চান পুলিশ কর্মকর্তারা। পরে ভাসানী মেম্বার, তার দুই ছেলে সিরাজুল ইসলাম (৩৮) ও আবদুর রব (৩০), ভাড়াটিয়া মনিরুল ইসলাম ও সুমন আলীকে আটক করে নিয়ে যায়।’’

ভাসানী মেম্বারের প্রতিবেশী শফিকুল আরও বলেন, ‘ভাসানী মেম্বারের বড় ছেলে সিরাজুল ইসলাম প্রায় ১০ বছর সৌদি আরবে ছিলেন। বছর তিনেক আগে তিনি দেশে ফিরে এসে ছোট ভাই আবদুর রবকে নিয়ে রড- সিমেন্টের ব্যবসা করে আসছিলেন। আর তাদের ভাড়াটিয়া মনিরুলের বাড়ি নাটোরের বড়াইগ্রাম থানার বনপাড়া গ্রামে। তার বাবার নাম আবু তাহের। তিনি এসিআই’র কীটনাশক শাখায় চাকরি করতেন। এছাড়া চাপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর থানার বোয়ালিয়া এলাকার ছোট বঙ্গেসপুর গ্রামের আবদুল জব্বারের ছেলে সুমন আলীও ভাড়া থাকতেন মেম্বারের বাড়িতে।তিনি প্রাণগ্রুপে চাকরি করেন।’

একই এলাকার ফল ব্যবসায়ী সুজন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমরা শুনেছি, ইউপি সদস্য ভাসানী মেম্বারসহ আটক পাঁচ জনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী শিবনগরের জঙ্গি আস্তানার সন্ধান পেয়েছে পুলিশ।’

ইউপি সদস্যসহ পাঁচ জনকে আটক কিংবা গ্রেফতারের প্রসঙ্গে জানতে চাইলে শিবগঞ্জ থানার ওসি হাবিবুল ইসলাম এ বিষয়ে কোনও কথা বলতে রাজি হননি। তিনি ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলতে পরামর্শ দেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের এক কর্মকর্তা আটকের বিষয়টি অস্বীকার করলেও কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি।

/ডিএ/জেইউ/ এপিএইচ/