ক্ষতিগ্রস্ত হাওরবাসীর জন্য আর্থিক সাহায্য বাড়ানোর সুপারিশ সংসদীয় কমিটির

সংসদঅকাল বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হাওরবাসীর পরিবার প্রতি মাসিক অর্থ সাহায্যের পরিমাণ বাড়ানোর সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি। দেশের বিস্তীর্ণ হাওরাঞ্চলের ক্ষতিগ্রস্ত তিন লাখ ৩০ হাজার পরিবারকে ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে মাসে ৩০ কেজি চাল ও পাঁচশ টাকা বিতরণ শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে চালের পরিমাণ নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করা হলেও নগদ অর্থ পাঁচশ টাকার পরিবর্তে এক হাজার টাকা দেওয়ার সুপারিশ করা হয়।

আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, গত ২৩ এপ্রিল থেকে অসময়ে টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে হাওর এলাকায় কৃষকদের ক্ষয়ক্ষতির প্রেক্ষাপটে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে মাসে চাল ও অর্থ বিতরণ শুরু হয়েছে। ছয় জেলায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে আগামী ৩১ জুলাই পর্যন্ত এ সহায়তা দেওয়া হবে।

এছাড়া এসব জেলার ক্ষতিগ্রস্ত আরও (যারা রিলিফ নেবেন না) এক লাখ ৭১ হাজার ৭১৫ পরিবারকে ওএমএসের মাধ্যমে ১৫ টাকা কেজি দরে চাল এবং খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ১০ টাকা কেজিতে চাল দেওয়া হবে।

এ মাসের শুরুতেই অসময়ে টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ ও নেত্রকোনার বিস্তীর্ণ এলাকায় বোরো ধান তলিয়ে যাওয়ায় সর্বশান্ত হয়েছেন লাখ লাখ কৃষক।

সংসদীয় কমিটির সুপারিশের বিষয়ে বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু সাংবাদিকদের বলেন, হাওরের পরিস্থিতি নিয়ে কমিটির বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। মন্ত্রণালয় পরিস্থিত মোকাবেলায় তাদের গৃহীত পদক্ষেপ কমিটিকে অবহিত করেছে। কমিটি পাঁচশ টাকার পরিবর্তে এক হাজার টাকা দেওয়ার সুপারিশ করেছে।

সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৈঠকে জানানো হয়, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে টিআর ও কাবিটা কর্মসূচির ৫০ শতাংশ টাকায় সোলার প্যানেল স্থাপন করা হবে। এছাড়া রাষ্ট্রীয় অর্থের অপচয় রোধে এবং অধিক স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সোলার প্যানেল স্থাপন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করার সুপারিশ করা হয়।

ধীরেন্দ্র দেবনাথের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য তালুকদার আব্দুল খালেক, বি.এম মোজাম্মেল হক, আবদুর রহমান বদি, মো. শফিকুল ইসলাম শিমুল এবং সৈয়দ আবু হোসেন অংশ নেন।

/ইএইচএস/বিএল/