আপন জুয়েলার্সের গ্রাহকদের সোনা ফেরত পাওয়ার তারিখ পিছিয়ে গেল

আপন জুয়েলার্সআপন জুয়েলার্স থেকে জব্দ করা সোনা ও ডায়মন্ড প্রকৃত গ্রাহকদের অনুকূলে আজ সোমবার (২২ মে) ফেরত দেওয়ার কথা থাকলেও তা স্থগিত করেছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর। তারা বলছে, আপন জুয়েলার্সের পক্ষ থেকে প্রকৃত গ্রাহকদের তালিকা শুল্ক গোয়েন্দাদের কাছে জমা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু  গতকাল (রবিবার) পর্যন্ত তারা তালিকা দেয়নি। এ কারণে গ্রাহকদের সোনা ও ডায়মন্ড আজ ফেরত দেওয়া হচ্ছে না। এ তথ্য জানিয়েছেন শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত বিভাগের মহাপরিচালক মইনুল খান।
শুল্ক গোয়েন্দা সূত্র জানায়, ন্যায়বিচারের স্বার্থে আগামী ২৫ মে আপন জুয়েলার্সের মালিকপক্ষকে নিজেদের দোকানে উপস্থিত হয়ে সোনা ও ডায়মন্ডের গ্রাহকদের তালিকা দেখাতে পুনরায় সময় দেওয়া হয়েছে। এসব কাগজপত্র অনুযায়ী তালিকা তৈরির পর জব্দ করা সোনা ও ডায়মন্ড প্রকৃত গ্রাহকদের ফেরত দেওয়ার জন্য পুনরায় সময় নির্ধারণ করা হবে।
এর আগে, আপন জুয়েলার্সের এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দোকানে থাকা কাগজপত্র বুঝে নিতে গত ১৮ মে শুল্ক গোয়েন্দা দল উপস্থিত হলেও আপন জুয়েলার্সের মালিকদের কেউ সেদিন দোকানে হাজির হননি বলে জানান শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান।
উল্লেখ্য, গত ২৮ মার্চ বনানীর রেইনট্রি হোটেলে ধর্ষণের শিকার হন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া দুই শিক্ষার্থী। ঘটনার প্রায় ৪০ দিন পর গত ৬ মে তারা বনানী থানায় মামলা করেন। মামলায় সাফাত আহমেদ, সাদমান সাকিফ, নাঈম আশরাফ, সাফাতের গাড়ি চালক বিল্লাল হোসেন ও বডিগার্ড রহমত আলী ওরফে আজাদকে আসামি করা হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ইতোমধ্যে সব আসামিকে গ্রেফতার করেছে।
এই মামলার এক নম্বর আসামি সাফাত আহমেদের বাবা আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহেমেদ। বনানী ধর্ষণ মামলার পর শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ রাজধানীতে আপন জুয়েলার্সের পাঁচটি শাখা সিলগালা করে দেয়।
/জেইউ/টিআর/এপিএইচ/