বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘জ্বালানি ও জাতীয় নিরাপত্তার জন্য ভয়ঙ্কর হুমকি, জাতীয় স্বার্থবিরোধী বিভিন্ন তৎপরতায় অতীতে যারা যুক্ত ছিলেন এবং বর্তমানে যারা যুক্ত আছেন তাদের অপরাধ ক্ষমার অযোগ্য। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মতোই জ্বালানি অপরাধীদের বিচার এখন আমাদের কর্তব্য।’
জাতীয় কমিটির এ দুই নেতা বলেন, ‘সরকার বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত সম্পর্কে জনগণকে দিচ্ছে ভুল তথ্য। যে কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সরকারি পরিসংখ্যানের সঙ্গে দেশজুড়ে ভয়াবহ লোডশেডিং মেলে না।’
সম্প্রতি মার্কিন কোম্পানি শেভরন নিজেদের ইচ্ছামতো চীনা একটি অদক্ষ কোম্পানির কাছে বাংলাদেশের সবচাইতে সমৃদ্ধ গ্যাস ব্লক বিক্রি করেছে উল্লেখ করে বিবৃতিতে তারা আরও বলেন, “এক্ষেত্রে সরকার ‘কিছুই জানি না’ বলে দায়িত্ব এড়াতে চাইছে কিন্তু এটা যে দুর্নীতিযুক্ত বোঝাপড়ার মাধ্যমেই সম্পন্ন হয়েছে তা সহজবোধ্য। এই মার্কিন কোম্পানি শেভরনকে সরকার অনেক বাড়তি সুবিধা দিয়েছে। ১৯৯৭ সালে ১৪ জুন মাগুড়ছড়া বিস্ফোরণের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের কমপক্ষে ২৫০ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস নষ্টের দায় দায়িত্ব শেভরনের, সে বিষয়ে ফয়সালা করবার কোনো উদ্যোগ সরকার গ্রহণ করেনি। এই ক্ষতিপূরণ আদায় করে জাতীয় সংস্থার হাতে গ্যাস ক্ষেত্র ফিরিয়ে আনাই ছিলো যথাযথ।’
/এসটিএস/এমও/