রেইনট্রিতে একজনের বুকিংয়ে আরেকজন থাকে কিভাবে: তদন্ত কমিটি

রেনইট্রি হোটেল কর্তৃপক্ষের দুই জনকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তদন্ত কমিটির ব্রিফবনানীতে দুই তরুণী ধর্ষণের ঘটনায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের তদন্ত কমিটি হোটেল রেইনট্রির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আদনান হারুন ও জেনারেল ম্যানেজার ফ্রাংক ফরগেটের কাছে জানতে চেয়েছিল, একজনের নামে রুম বুকিং নিয়ে আরেকজন থাকে কিভাবে? বৃহস্পতিবার (২৫ মে) জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে তদন্ত কমিটি তাদের কাছে এ বিষয়টি জানতে চায় কমিটি।
রেইট্রি হোটেল কর্তৃপক্ষের এই দুই কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন গঠিত তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক মো. নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ কথা জানান। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘নির্দিষ্ট দুই জনের নামে হোটেল বুকিং দিয়ে অন্যরা থাকে কিভাবে  তা জানতে চেয়েছি।’

তদন্ত কমিটির প্রধান সাংবাদিকদের বেলেন, ‘আমরা এ ঘটনা তদন্তের জন্য রেইট্রির দুই কর্মকর্তা ও দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে ডেকেছিলাম। দ্য রেইনট্রি হোটেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আদনান হারুন ও জেনারেল ম্যানেজার ফ্রাংক ফরগেট এসেছেন। আর পুলিশের দু্ই কর্মকর্তা গুলশান জোনের ডিসি মোশতাক আহমেদ ও বনানী থানার ওসি ফরমান আলী আসেনি। তারা সময় চেয়েছেন।

এর আগে গত মঙ্গলবার (২৩ মে) ধর্ষণের ঘটনার দিন মানবাধিকার লংঘন হয়েছে কিনা তা জানতে রেইট্রি কর্তৃপক্ষের এই দুই কর্মকর্তা ও দুইজন পুলিশ কর্তাকে তলব করেছিল তদন্ত কমিটি।

বৃহস্পতিবার বিকেলে দ্য রেইনট্রি হোটেল কর্তৃপক্ষের দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক বলেন, ধর্ষণের ঘটনার সঙ্গে রেইট্রির সম্পৃক্ততা কতটুকু তা জানার জন্য তাদের (রেইনট্রির কর্তৃপক্ষের দুই কর্মকর্তা) ডাকা হয়েছিল। দু’জনের নামে হোটেলের রুম বুকিং দিয়ে অন্যরা কিভাবে থেকেছে তা জানার চেষ্টা করেছি।’ হোটেলে অস্ত্র নিয়ে প্রবেশের বিষয়টিও জানার চেষ্টা করেছেন বলে সাংবাদিকদের উল্লেখ করেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘তদন্তের স্বার্থে যেসব তথ্য জানার দরকার ছিল, তা আমরা জানতে চেয়েছি। তারা তাদের মতো করে প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন। অস্ত্রের ব্যাপারে তারা বলেছেন, অস্ত্র  ফ্রন্ট ডেস্কে রেখে দিয়েছিলাম।’

পুলিশের অনুপস্তির বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘তারা চিঠি দিয়ে সময় চেয়েছেন। আগামী ৪ জুন তদন্ত কমিটির সভা রয়েছে। সেদিন তাদের উপস্থিত হতে বলা হয়েছে।’

এ বিষয়ে পুলিশ অসহযোগিতা করছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এখানে আমরা অসহযোগিতা বলবো না, তারা সময় চেয়েছেন, আমরা সময় দিয়েছি।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষর্থী ধর্ষণ ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার বিষয়ে মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদর ১৫ দিনের সময় ছিল। তদন্ত চলছে প্রতিবেদন আগামী ৪ জুনের পরপরই তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার চেষ্টা করবো।’

তদন্ত কমিটির জিজ্ঞাসাবাদের পর দ্য রেইট্রি হোটেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আদনান হারুন বলেন, ‘এখানে যদি মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়ে থাকে তাহলে আমরা এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’

তদন্ত কমিটির জিজ্ঞাসাবাদ প্রসঙ্গে আদনান বলেন, ‘তদন্ত কমিটি আমাদের কাছে যেসব প্রশ্ন করেছে, তার জবাব দিয়েছি। আমাদের জবাবে তারা সন্তুষ্ট।’

তিনি আরও বলেন, ‘আজ আমাদের প্রতিষ্ঠান (দ্য রেইট্রি হোটেল) ধ্বংসের মুখে। আমাদের পরিবার ও কর্মকর্তা-কর্মচারি সবাই ধাপে ধাপে লাঞ্ছিত হচ্ছেন। আমরা এই ঘটনার বিচার চাই।’

/আরজে/এসএমএ/

আরও পড়ুন
রেইনট্রি কর্তৃপক্ষকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষ