তামাক নিয়ন্ত্রণে চাষিদের বিকল্প চাষে উদ্বুদ্ধ করার আহ্বান

‘তামাক: জনস্বাস্থ্য ও উন্নয়নের হুমকি’ শীর্ষক সেমিনারজনসংখ্যার আধিক্য, নিম্ন আয়, দারিদ্র্য, অসচেতনতা ও নানাবিধ কারণে বিশ্বের সর্বোচ্চ তামাকজাত পণ্য ব্যবহারকারী দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। তাই তামাক চাষীদের উচ্চমূল্যের বিকল্প শস্য চাষে উদ্বুদ্ধ করার জন্য কার্যক্রম গ্রহণ ও তামাক চাষীদের বিকল্প চাষে সহজ শর্তে ঋণ সহায়তা দিতে হবে। রবিবার (২৮ মে) আগারগাঁয়ে অবস্থিত পল্লীকর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) ভবনে আগামী ৩১ মে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস উপলক্ষে আয়োজিত ‘তামাক: জনস্বাস্থ্য ও উন্নয়নের হুমকি’ শীর্ষক এক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।
সেমিনারে বক্তারা জানান, তামাকজনিত রোগে দেশে প্রতিবছর প্রায় ১ লাখ মানুষ মারা যান, পঙ্গুত্ব বরণ করেন ৩ লাখ ৮২ হাজার মানুষ। তাই তামাক নিয়ন্ত্রণে কর্মরত সব সংগঠনের সমন্বয়ে একটি জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ প্ল্যাটফর্ম গঠনের ঘোষণা দেন পিকেএসএফ সভাপতি ড. কাজী খলীকুজ্জামান। সেমিনারে উপস্থিত বিশেষজ্ঞরা এতে সম্মতি দেন। এসময় বক্তারা বলেন, তামাক বাংলাদেশের অর্থনীতি, পরিবেশ, খাদ্য নিরাপত্তা, মানবাধিকার ও দারিদ্র্যের ক্ষেত্রেও হুমকিস্বরূপ।
সেমিনারে বিশেষ অতিথি জাতীয় অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার (অব.) আব্দুল মালিক বলেন, ‘তামাকবিরোধী আন্দোলনে জড়িত সব সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের একসঙ্গে কাজ করতে হবে।’ অন্যদিকে, আসন্ন বাজেটে তামাকজাত পণ্যের বিষয়ে আরও কঠোর অবস্থান নেওয়ার বিষয়ে সরকারের পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করেন অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান।
পিকেএসএফের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অর্থ) গোলাম তৌহিদ জনস্বাস্থ্য, তথা অর্থনীতির ওপর তামাকের ক্ষতিকর প্রভাব নিয়ে উপস্থাপনা তুলে ধরেন।
/জেএ/টিআর/