গ্রেফতারকৃতরা হলো— রওশন মিয়া, মো. সোহাগ, মো. রাসেল, মো. বাবু, মো. হৃদয়, মো. ছোট বাবু, মো. সুমন হাওলাদার, বিজয় চন্দ্র, মো. সুমন, মো. ফয়সাল, মো. বিল্লাল হোসেন, আবুল হোসেন, আকাশ ভূইয়া, মো. ছালাম ও মো. রুবেল।
গ্রেফতারকৃতদের কাছে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী উপ-কমিশনার মাসুদুর রহমান জানান, অজ্ঞঅন পার্টির সমস্যরা ডাবের পানি, খেজুর, চা, কফিসহ বিভিন্ন ধরনের পানীয়ের সঙ্গে চেতনানাশক ট্যাবলেট মিশিয়ে যাত্রীর বেশে বিভিন্ন গণপরিবহনে হকার হয়ে ওঠে। তাছাড়া বাসস্ট্যান্ড, রেলস্টেশন, লঞ্চটার্মিনালসহ জনাকীর্ণ স্থানগুলোতে নিরীহ যাত্রী বা পথচারীদের মধ্যে কোনও কোনও ব্যক্তিকে টার্গেট করে তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হয়। এক পর্যায়ে আগের তৈরি খাবারের সঙ্গে চেতনানাশক ট্যাবলেট মিশিয়ে ওই ব্যক্তিকে কৌশলে খাইয়ে অজ্ঞান করে ফেলে। পরে তার কাছে থাকা টাকা ও মূল্যবান দ্রব্যসহ সর্বস্ব লুটে নিয়ে পালিয়ে যায়।
মাসুদুর রহমান জানান, সারাবছর এভাবেই জীবিকা নির্বাহ করে অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা। তবে ঈদ, পূজা, রোজাসহ অন্যান্য উৎসবের সময় তাদের তৎপরতা বৃদ্ধি পায়। এছাড়া ছিনতাইকারী ও ডাকাত দলের সদস্যরা জানায়, তারা দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ জনগণের চলার পথে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ছিনতাই করে থাকে।
গোয়েন্দা পুলিশের বুধবার রাতের অভিযানে অজ্ঞান পার্টির সদস্যদের কাছ থেকে চেতনানাশক তরল পদার্থ মিশ্রিত খেজুর ও বিপুল পরিমাণ চেতনানাশক ট্যাবলেটও উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন-