ডিএনএ পরীক্ষায় আতিয়া মহলে এক জঙ্গির পরিচয় নিশ্চিত

আতিয়া মহল

আতিয়া মহলে নিহত চার জঙ্গির মধ্যে এক নারীর ডিএনএ তার পরিবারের সঙ্গে মিলেছে। তবে বাকি তিনজনের পরিচয় এখনও নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। মঙ্গলবার (২০ জুন) সন্ধ্যায় পিবিআই সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সানোয়ার জাহান বাংলা ট্রিবিউনকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, ‘আমরা কয়েকদিন আগে ডিএনএ রিপোর্ট পেয়েছি। নিহত চার জঙ্গি ও তাদের স্বজন দাবি করা ব্যক্তিদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করতে পাঠিয়েছিলাম। পরীক্ষায় মর্জিনা নামের এক নারীর ডিএনএ মিলেছে। বাকি তিনজনের স্বজন দাবি করা ব্যক্তিদের সঙ্গে তাদের ডিএনএন মেলেনি। তাই বাকিদের পরিচয়ের বিষয়ে এখনই নিশ্চিত করে কিছুই বলা যাচ্ছে না।’

গত ২৩ মার্চ বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে সিলেটের দক্ষিণ সুরমার শিববাড়ি এলাকায় জঙ্গি আস্তানার তথ্য পেয়ে আতিয়া মহলের চারদিকে অবস্থান নেয় স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পরে সেখানে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট ও র‌্যাব সদর দফতরের শীর্ষ কর্মকর্তারা অবস্থান নেন। তবে ওইদিন ভবনটির অবস্থান ও কাঠামোর বিষয়টি পুলিশ ও র‌্যাব অভিযান পরিচালনা থেকে বিরত থাকে। পরদিন ২৫ মার্চ শনিবার সকাল থেকে ‘অপারেশন টোয়াইলাইট’ পরিচালিত হয়। সেনাবাহিনীর ১৭ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল আনোয়ারুল মোমেনের নেতৃত্বে এই অভিযান চালানো হয়। অভিযানের শুরুতে ওই ভবনে অবরুদ্ধ থাকা ৭৮ জনকে উদ্ধার করা হয়। এদিকে, ওইদিন রাতে আতিয়া মহলের অদূরে এক ঘণ্টার ব্যবধানে দু’টি বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় র‌্যাবের গোয়েন্দা কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবুল কালাম আজাদসহ সাতজন নিহত হন। এ হামলায় আহত হন অর্ধশত। গত ২৮ মার্চ সন্ধ্যায় শেষ হয় ‘অপারেশন টোয়াইলাইট’। অভিযানে নিহত হয় চার জঙ্গি।

 বাকি তিন জঙ্গি সুসাইডাল ভেস্ট পরে আত্মঘাতি হয়েছিল। তাদের পরিচয়ও ডিএনএ টেস্টে নিশ্চিত হতে পারেনি পিবিআই।

/এসএমএ/