মশা নিধনে বরাদ্দ কমালো ডিএনসিসি


ডিএনসিসির বাজেট ঘোষণা করছেন মেয়র আনিসুল হক (ছবি- ফোকাস বাংলা) মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ নগরবাসী। নগরজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে মশাবাহিত রোগ চিকুনগুনিয়া। উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় মশার যন্ত্রণা বেশি হলেও এবছর সংস্থাটি গত অর্থবছরের চেয়ে মশক নিধন খাতে সোয়া তিন কোটি টাকা বরাদ্দ কমিয়ে বাজেট ঘোষণা করেছে। 

বুধবার বিকালে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের নগরভবনে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করেছেন ডিএনসিসি মেয়র আনিসুল হক। তিনি জানান, ২০১৬-১৭  অর্থবছরে মশক নিধন খাতে বরাদ্দ ছিল ২৩ কোটি ২৫ লাখ টাকা। কিন্তু এর মধ্যে ব্যয় করা হয়েছে ১৬ কোটি ৮৫ লাখ টাকা।প্রায় ৬ কোটি টাকা খরচ করা হয়নি। এ বছর বরাদ্দ রাখা হয়েছে ২০ কোটি টাকা।

অর্থাৎ গত বছরের বাজেট প্রস্তাবের তুলনায় এ বছর মশা নিধন খাতে সোয়া তিন কোটি টাকা কম বরাদ্দ রাখা হয়েছে। যদিও ডিএনসিসি তা মানতে রাজি নয়। তারা বলছে, এবছর মশা নিধন খাতে পোনে চার কোটি টাকা বেশি বরাদ্দ রাখা হয়েছে।

প্রশ্ন হচ্ছে, ডিএনসিসি আগের অর্থবছরে ২৩ কোটি ২৫ লাখ টাকার মধ্যে যদি ১৬ কোটি ৮৫ লাখ টাকা খরচ করে থাকে,  তাহলে নতুন অর্থবছরে ২০ কোটি টাকা থেকে কত টাকা খরচ হবে? ডিএনসিসি পুরো টাকা খরচ করতে পারবে কি? কিংবা এই বাজেটে নগরবাসী মশার যন্ত্রণা থেকে রক্ষা পাবে?

খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, চলতি বছর নগরজুড়ে হঠাৎ করেই মশাবাহিত চিকুনগুনিয়া রোগ দেখা দেয়। এবছর স্বাস্থ্য অধিদফতরের জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) -এর এক জরিপে দেখা গেছে, রাজধানীর ২৩টি এলাকা চিকুনগুনিয়ার জন্য অধিক ঝুঁকিপূর্ণ এবং সবকটি এলাকা ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আওতাভুক্ত। এরপরও  ডিএনসিসি মশক নিধন খাতে বাজেট কমিয়েছে।

অবশ্য মেয়র আনিসুল হক তার বাজেট বক্তৃতায় চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার জন্য সাধারণ মানুষের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন।  

ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এসএমএম সালেহ ভূঁইয়া বলেন, ‘বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা, উত্তরার কিছু এলাকা ও সেনানিবাস এলাকায় আমাদের ওষুধ ছিটানোর অনুমতি নেই। যদিও সেসব এলাকায় প্রচুর মশা জন্মায় এবং  সেখান থেকে ডিএনসিসির বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে।’

এই কর্মকর্তার মতে ‘চিকুনগুনিয়া একটি বৈশ্বিক সমস্যা। জলবায়ুর প্রভাবে চিকুনগুনিয়ার প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। জনগণ সচেতন হলে এ রোগ এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব।’

/এসএস/ এপিএইচ/

আরও পড়ুন: চিকুনগুনিয়ার জন্য ক্ষমা চাইলেন আনিসুল হক