সাংবাদিক নাজমুলের বিরুদ্ধে ৫৭ ধারায় মামলার প্রতিবাদে ঢাবিতে মানববন্ধন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী এবং সাংবাদিক নাজমুল হোসেনের বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীরা। রবিবার দুপুরে ঢাবির অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে মানববন্ধনটি অনুষ্ঠিত হয়।

সাংবাদিক নাজমুলের বিরুদ্ধে ৫৭ ধারায় মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধনমানববন্ধনে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষক, শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির নেতা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ২০০৩-০৪ শিক্ষাবর্ষ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা অংশ নেন।

প্রসঙ্গত, গত ২৩ জুন ‘বিচারপতির লাল সিঁড়ি ও দেলোয়ারের ক্র্যাচ’ শিরোনামে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নাজমুল হোসেনের দেওয়া একটি স্ট্যাটাস দেন। সেই স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে বিচার বিভাগের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার অভিযোগ এনে নাজমুল হোসেনসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন দিনাজপুর জজ কোর্টের আইনজীবী হযরত আলী বেলাল।

সাংবাদিক নাজমুলের বিরুদ্ধে ৫৭ ধারায় মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধনমানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক ড. এ জে এম শফিউল আলম ভূঁইয়া, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারপারসন অধ্যাপক মফিজুর রহমান, অপরাধবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক সৈয়দ মাহফুজুল হক মারজান, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী ও স্টেট ইউনিভার্সিটির শিক্ষক কাজী আনিস, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রভাষক আসাদুজ্জামান কাজল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি ফরহাদ উদ্দীন।

ঢাবির সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন শফিউল আলম ভূঁইয়া বলেন, ‘তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় যেসব অপরাধের কথা উল্লেখ রয়েছে, তা অনেকাংশেই অস্পষ্ট। আর এ ধারার মামলা জামিন অযোগ্য হওয়াটা ভয়ঙ্কর। এ ধারা জনগণের মতপ্রকাশের পথে একটি কাঁটা, এটি বাকস্বাধীনতার বিরুদ্ধে যাচ্ছে। সরকারের প্রতি আহ্বান থাকবে এ ধারা অবিলম্বে বিলুপ্ত করতে হবে।’

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ‘ইতোমধ্যে শতাধিক মানুষ ৫৭ ধারার মামলার শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে ২৬ জন সাংবাদিক রয়েছেন। আমরা এ ধারার বিরুদ্ধে। শুধু মামলা প্রত্যাহার নয়, অবিলম্বে এ আইন বিলোপ করতে হবে।’
ছবি: ঢাবি প্রতিনিধি

/এমও/