এদিকে, উপাচার্যের বাসভবন ভাঙচুর ও শিক্ষক লাঞ্ছনার অভিযোগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা ওই মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে এখনও অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন চার শিক্ষার্থী।
এর আগে, চার শিক্ষার্থীর অনশনের মুখে রবিবার সিন্ডিকেটের জরুরি সভা ডাকেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম। রবিবার দুপুর ১টা থেকে সন্ধ্যা পৌনে ৬টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সিনেট হলে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে মামলার পরবর্তী করণীয় ও এ সংশ্লিষ্ট সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়। আলোচনায় চারটি বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
চার শিক্ষার্থীর অনশন প্রসঙ্গে উপাচার্য বলেন, ‘যেসব শিক্ষার্থী অনশন করছে, তাদের অনশন প্রত্যাহার করতে অনুরোধ জানানো হবে। আর যারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মনগড়া কথাবার্তা লিখে পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চেষ্টা করছে, তাদের বিরুদ্ধে সতর্ক অবস্থান নেবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।’ এছাড়া কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থিতিশীল শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করলে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান উপাচার্য।
এদিকে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত (রবিবার সন্ধ্যা ৭টা) মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অনশন অব্যাহত রেখেছেন চার শিক্ষার্থী। শনিবার দুপুর ২টায় কোনও ঘোষণা ছাড়াই অনশন শুরু করেন ইংরেজি বিভাগের ৪২তম আবর্তনের শিক্ষার্থী সরদার জাহিদুল ইসলাম। পরে তার সঙ্গে যোগ দেন একই বিভাগ ও আবর্তনের শিক্ষার্থী তাহমিনা জামান এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৪০তম আবর্তনের শিক্ষার্থী পূজা বিশ্বাস। রবিবার সকালে তাদের সাথে যোগ দেন আইন ও বিচার বিভাগের ৪৩তম আবর্তনের শিক্ষার্থী খান মুরতাসির আরমান। অনশনকারীদের মধ্যে সরদার জাহিদুল ইসলাম ও পূজা বিশ্বাসের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি ও নিরাপত্তা কর্মকর্তারা অনশনস্থল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান করছেন।
উল্লেখ্য, সড়ক দুর্ঘটনায় দুই শিক্ষার্থী নিহতের প্রতিবাদে গত ২৭ মে সড়ক অবরোধকালে পুলিশি হামলার জেরে উপাচার্যের বাসভবন ভাঙচুর করে শিক্ষার্থীরা। এসময় কয়েকজন শিক্ষক লাঞ্ছিত হন বলে অভিযোগ ওঠে। পরে ৩১ শিক্ষার্থীর নাম উল্লেখ করে কমপক্ষে ৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ওই রাতেই ১০ জন ছাত্রীসহ ৪২ শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরদিন বিকালে জামিনে মুক্তি পান তারা।
আরও পড়ুন-
শিক্ষক নিয়োগে জটিলতা: অপেক্ষায় এক লাখ সনদধারী
অননুমোদিত মাদ্রাসাগুলোকে ৩ মাসের মধ্যে অনুমোদন নিতে হবে
/টিআর/