সার্জেন্ট কাওসারের এজাহারে যা আছে

 

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস



পুলিশ সার্জেন্টকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের মারধরের ঘটনায় মঙ্গলবার রমনা থানায় মামলা হয়েছে। মামলাটি করেছেন মারধরের শিকার ট্রাফিক সার্জেন্ট কায়সার হামিদ।


সার্জেন্ট কাওসার হামিদ এজাহারে বলেছেন, ‘আমি ১৭ জুলাই বেলা ২টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত বাংলামোটরে দায়িত্ব পালন করি। দায়িত্ব পালনের সময়, রূপসী বাংলা হোটেল ক্রসিং থেকে ফার্মগেট অভিমুখে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি ডাবল ডেকার বাস আকস্মিকভাবে আইনের তোয়াক্কা না করে বিপরীত লেন দিয়ে যেতে থাকে। আমি তাদের লেন পরিবর্তন করে সঠিক পথে যাওয়ার অনুরোধ করি। কিন্তু তারা গতিপথ রোধ করে দাঁড়িয়ে থাকে। ৫টা ৫মিনিটের দিকে এ ঘটনা ঘটে। তাদের সঠিক পথে যেতে বলায় বাস থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩০/৪০ জন ছাত্র এসে আমার সঙ্গে তর্কে লিপ্ত হয়। উল্টোপথে তাদের যেতে না দিলে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। ’
এজাহারে আরও বলা হয়, ‘ইতোমধ্যে ফার্মগেট থেকে বাংলামোটর পযর্ন্ত তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। তাদেরকে পুনরায় সঠিক পথে যেতে বলি। তখন ৩০/৪০ জন ছাত্র আমাকে চারদিক থেকে ঘিরে ধরে মারধর শুরু করে। আমার সারাশরীরে কিল ঘুষি মেরে জখম করে। তারা আমার পোশাক টানাহেচড়া করে সোল্ডারসহ বিভিন্ন অংশ ছিড়ে ফেলে। আমার চিৎকার শুনে পাশে থাকা টিআই দেলোয়ার হোসেন ও সার্জেন্ট আনিসুল হকসহ অন্যান্য অফিসার ও ফোর্স এসে আমাকে উদ্ধার করেন। চিকিৎসার জন্য দ্রুত আমাকে ঢামেক হাসপাতালে পাঠান। আমি প্রাথমিক চিকিৎসা শেষ করে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘দণ্ডবিধির ১৮৬/৩৫৩/৩৩২/৩০৭ ধারায় অপরাধ করেছে তারা। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে এজাহার করায় বিলম্ব হলো।’
/এআরআর/এসটি/ এপিএইচ/আপ-এনআই