শাহবাগে শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ

পুলিশের হামলায় আহত এক শিক্ষার্থীঅবিলম্বে রুটিনসহ পরীক্ষার তারিখ ঘোষণার দাবিতে রাজধানীর শাহবাগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ৭ কলেজের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠিচার্জ ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) সকাল ১০টার দিকে শিক্ষার্থীরা শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের সামনের রাস্তায় অবস্থান নেওয়ার পর বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ তাদের ওপর লাঠিচার্জ ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে।

এ আন্দোলনে অংশ নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত হওয়া সাতটি সরকারি কলেজের প্রায় এক হাজার শিক্ষার্থী।
পুলিশের রমনা বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার (এডিসি) আজিমুল হক বলেন, সকাল ১০টার দিকে শিক্ষার্থীরা জাদুঘরের সামনে অবস্থান নিলে প্রথমে তাদেরকে কিছুক্ষণ পরে সরিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু ঘণ্টাখানেক পরে তারা রাস্তা বন্ধ করে যাতায়াতে বিঘ্ন ঘটাচ্ছিল। পরে আমরা তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করতে বাধ্য হয়েছি। এ ঘটনায় কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে।
গত ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা কলেজ, সরকারি তিতুমীর কলেজ, কবি নজরুল ইসলাম কলেজ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও মিরপুর বাঙলা কলেজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয়। কিন্তু জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের একই সেশনের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা কার্যক্রম শুরু হলেও এই ৭ কলেজের পরীক্ষা শুরু করতে পারেনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ফলে, শিক্ষার্তীরা মনে করছেন তারা পিছিয়ে পড়ছেন। এ জন্যই পরীক্ষার দাবিতে এ আন্দোলনে নেমেছেন তারা।

শিক্ষার্থীদের দাবি, পুলিশের ছোড়া টিয়ারশেলের আঘাতে প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে চারজনের অবস্থা গুরুতর। তারা ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসা নিতে ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে দু’জনের নাম পাওয়া গেছে। একজন ঢাকা কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র নাঈম এবং অন্যজন তিতুমীর কলেজের ছাত্র সিদ্দিক।

পুলিশের হামলায় আহত এক ছাত্রশাহবাগ থানার ওসি আবুল হাসান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘সকালে মানবন্ধন করার পর তারা কথা দিলো চলে যাবে, কিন্তু এক পর্যায়ে তারা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দিকে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। তখন আমরা তাদের বাধা দিলে পুলিশকে লক্ষ্য করে ফুলের টপ ও ইটপাটকেল ছোড়ে। পরে আমরা তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেই।’ তিনজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন এবং ১৩ জন ছাত্র আটক রয়েছে বলে জানান তিনি।

তাদের নামে মামলা করা হবে কিনা জানতে চাইলে ওসি বলেন, ‘আপাতত তাদের আটক  রাখা হয়েছে। মামলার প্রক্রিয়া চলছে ।


/আরএআর/এআর/