‘আইনি লড়াই করবে ঢাবি উপাচার্য প্যানেল’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গত ২৯ জুলাই সিনেট নির্বাচনের মাধ্যমে উপাচার্য প্যানেল নির্বাচন করা হয়। কিন্তু ১৫ জন রেজিস্ট্রার্ড গ্র্যাজুয়েটের করা এক আবেদনের শুনানির পর হাইকোর্ট বৃহস্পতিবার এই প্যানেলের কার্যক্রম স্থগিত করেন। তবে আইনি লড়াই চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছে উপাচার্য প্যানেল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের ডিন ও উপাচার্য প্যানেলে নির্বাচিত সদস্য আব্দুল আজিজ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গণতান্ত্রিক চর্চায় রোল মডেল। এই বিশ্ববিদ্যালয়কে কোনও একটি চক্র গণতান্ত্রিক চর্চাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছেন। জানি না তারা কী উদ্দেশ্য নিয়ে এগুলো করছেন।’

আব্দুল আজিজ বলেন, ‘যারা রিট করেছেন তাদের বক্তব্য সিনেট সদস্য পূর্ণ না করেই নির্বাচন দেওয়া হলো। কিন্তু তারা কি জানেন না, প্রথম থেকে এখন পর্যন্ত সিনেট সদস্য ১০৫ জন কোনও অধিবেশনেই পূর্ণ হয়নি। এর মানে কি এ যাবত যত উপাচার্য এসেছেন সবাই অবৈধ? রেজিষ্টার্ড গ্র্যাজুয়েট কোটাপূর্ণ না করেই নির্বাচন দেওয়া হলো। কিন্তু সময় তো হাতে নেই। উপাচার্যের মেয়াদ মাত্র একমাস বাকি, এখন নির্বাচন দিয়ে রেজিষ্টার্ড গ্র্যাজুয়েটদের কোটা পুর্ণ করা কি সম্ভব? তবে এটা করা যেত আরও অন্তত ৫ থেকে ৬ মাস আগে। কিন্তু তখন তো গণতান্ত্রিক ঐক্য পরিষদ আমাকে এসে কোনও দিন বলেননি গ্র্যাজুয়েটদের নির্বাচন দিতে? তারা কেন উদ্যোগ নেইনি? তারা কি জানতেন না সিনেট সদস্য পরিপূর্ণ হয়নি? আসলে তারা সবই জানেন, কিন্তু উপাচার্যকে প্রশ্নের মুখোমুখি করতেই তারা এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছেন।

গ্রাজুয়েট নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘গণতান্ত্রিক ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক তো এখন সিনেট সদস্য, তিনি কেন গ্রাজুয়েট নির্বাচন দেননি? তিনি তো কখনোই এ কথা মুখেও বলেননি।’

এখন আপনাদের কী করণীয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা আইনি লড়াই করে যাব, এছাড়া কোনও উপায় নেই। আর তা যদি না করি তাহলে এ যাবত যত উপাচার্য এসেছেন সবাই অবৈধ বলে গণ্য হবেন। এটা কিভাবে হতে দেই?

/আরএআর/