শাহবাগে ইমরান এইচ সরকার ও প্রজন্ম চত্বরের সমাবেশে হামলা

প্রজন্ম চত্বর শাহবাগের মানববন্ধনরাজধানীর শাহবাগে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকারের ‘নিষ্ক্রিয়তা’র প্রতিবাদ ও ত্রাণ তৎপরতা বাড়ানোর দাবিতে ‘প্রজন্ম চত্বর শাহবাগ’ আয়োজিত সমাবেশে ইমরান এইচ সরকারসহ ওই মঞ্চের কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে। দেশে কিসের বন্যা— এমন প্রশ্ন করতে করতেই সমাবেশে হামলা করা হয় বলে বাংলা ট্রিবিউনের কাছে অভিযোগ করেছেন ইমরান।
গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকারসহ গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীদের অনেকেই প্রজন্ম চত্বরের এই সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন। ইমরান বাংলা ট্রিবিউনকে এই হামলা প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘প্রজন্ম চত্বরের সমাবেশ চলাকালে ১০-১২ জনের একটি গ্রুপ লাঠিসোটা নিয়ে পুলিশের সামনে আমাদের ওপর হামলা করেছে। তারা হামলা সময় বলছিল, ‘দেশে কিসের বন্যা? তোরা কি বন্যার নাটক বানাস?’ হামলায় ছয় জন আহত হয়েছেন। তাদের দু’জনকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
এ বিষয়ে জানতে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসানকে ফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।
শাহবাগ থানায় ইমরান এইচ সরকারএর আগে, সমাবেশে ইমরান এইচ সরকার বলেন, ‘দুর্যোগ মোকাবেলায় সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে পর্যাপ্ত পরিমাণ খাদ্য মজুদ রয়েছে। কিন্তু মানুষ যদি দুর্যোগের সময় খাবার না পায়, তাহলে এ মজুদ দিয়ে কী হবে? উত্তরবঙ্গের বন্যাদুর্গত অনেক এলাকার সংসদ সদস্যরা ঢাকা থেকে এলাকায় যাননি। দুর্গত মানুষেরা ত্রাণ মন্ত্রীর নামও জানেন না। বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ত্রাণ নিয়ে দুর্গত এলাকায় যাচ্ছে, অনেকে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে মূল পদক্ষেপ সরকারকেই নিতে হবে। এটা মানুষের অধিকার, কোনও কৃপা নয়।’
ইমরান বলেন, ‘সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ইঁদুর বাঁধ কেটে ফেলার কারণেই বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ইঁদুর বাঁধ কেটেছে কিনা জানি না, তবে ইঁদুররূপী কিছু মানুষ যে প্রকল্পের টাকা মেরে খেয়েছেন, এতে কোনও সন্দেহ নেই। বড় বড় প্রকল্পে বড় হারে টাকার অঙ্ক বাড়ে। অথচ প্রাকৃতিক দুর্যোগে টাকা বের করতে তাদের গড়িমসি।’ দুর্যোগ পরিস্থিতি মোকাবিলায় দীর্ঘমেয়াদি কোনও পদক্ষেপও দেখা যাচ্ছে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।
মানববন্ধনে অন্যান্যের মধ্যে সংগঠক আকরামুল হক, ঢাকা মহানগর গণকমিটির সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন স্বপন, শিশু সংগঠক তাহমিনা সুলতানা সাথী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। মানববন্ধন পরিচালনা করেন জীবনানন্দ জয়ন্ত।
আগামী শনিবার (১৯ আগস্ট) প্রজন্ম চত্বর ত্রাণ নিয়ে কুড়িগ্রাম, দিনাজপুর ও সুনামগঞ্জের দুর্গত এলাকায় যাবে বলে মানববন্ধনে জানানো হয়।
/আরজে/টিআর/