ইনার হুইল ক্লাব, ইউ ফাউন্ডেশন ও জাগো ফাউন্ডেশনের যৌথ আয়োজনে এই সেমিনারে প্রায় ২০ জন তরুণ শিক্ষার্থী অংশ নেন। তারা সংহিসতার বিরুদ্ধে তরুণদের ভুমিকা নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন করেন, একই সঙ্গে নিজেদের মত প্রকাশ করেন।
ইনার হুইল ক্লাবের ডিস্ট্রিক-৩৪৫ এর ডিস্ট্রিক চেয়ারম্যান শারমিন হোসেন বলেন, দেশ স্বাধীন হয়েছে তরুণদের হাত ধরে। দেশে সব অন্যায়ের বিরুদ্ধে এগিয়ে এসেছে তরুণরা। তাই সব কিছুতে তরুণদের প্রয়োজন পরিবারের সমর্থন। এ কারণে পরিবারের মুরুব্বিদের উচিৎ তরুণদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ ও খোলামেলা আচরণ। এর ফলে কেউ বিপদগামী হয়ে সহিংসতায় জড়াবে না।
বাংলাদেশের সংবিধানে নারী পুরুষ ভেদাভেদ নেই উল্লেখ করে ব্যারিস্টার ফাতেমা সোবহান বলেন, আমাদের সংবিধানে কোথাও নারী পুরুষ আলাদা করা হয়নি, সবাইকে মানুষ হিসেবে বলা হয়েছে। মানুষের মৌলিক বিষয়গুলো উঠে এসেছে।
উই ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারম্যান রুপা খান বলেন, নিজের কাজের প্রতি নিজের কাছে জবাবদিহিতা বোধ তৈরি করতে হবে। বিবেক বোধকে জাগ্রত করতে হবে। সহিংসতার বিরুদ্ধে সবাইকে এক সঙ্গে এগিয়ে আসতে হবে। সকলের প্রতিরোধের মুখে সহিংসতাকারীরা সমাজে স্থান পাবে না।
নদী রশীদ বলেন, পরিবার থেকেই শিশুদের মানবিক মূল্যবোধ শেখাতে হবে। নারী-পুরুষ ভেদাভেদ না করে মানুষ হিসেবে মূল্যায়ণ করা শেখাতে হবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইনার হুইল ক্লাবের ঢাকা বুড়িগঙ্গার প্রেসিডেন্ট শারমীন রহমান, সেক্রেটারি লিলি শাহেদ, ভাইস চেয়ারম্যান মোহসেনা রেজা, আইএসও কাজী জেসমিন কবির, ক্লাব করেনপন্ডেন্ট খোদেজা বেগম, খুরশিদা বানু, জাগো ফাউন্ডেশনের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার নুসরাত শারমিন পূর্ণ প্রমুখ।
ছবি: সাজ্জাদ হোসেন
/সিএ/টিএন/
আরও পড়ুন-
সড়ক ও পরিবহন ব্যবস্থাপনার দুর্বলতায় দুর্ঘটনা বাড়ছে
রিয়াদে অভিবাসন ট্যাক্সের মধ্যেও স্কুলে সন্তানদের নিয়ে প্রবাসীদের ভিড়