ঢামেক হাসপাতালের শিশু সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক ডা. সাহনুর ইসলাম বুধবার (২৩ আগস্ট) বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘তোফা ও তহুরা শঙ্কামুক্ত থাকলেও সেটি আমরা এখনই বলতে চাচ্ছি না। ওরা বাড়ি ফেরা না পর্যন্ত ওদের আমরা শঙ্কামুক্ত বলতে চাই না। তবে ওরা দুজনই এখন অনেক ভালো আছে, সুস্থ রয়েছে। ওদের আইসিইউ থেকে স্থানান্তর করে কেবিনেও দেওয়া হয়েছে। আশা করছি, আগামী সপ্তাহ নাগাদ ওদের ছুটি দিতে পারবো,বাড়ি ফিরবে মেয়ে দুটি।’ অধ্যাপক সাহনুর ইসলামের তত্ত্বাবধায়নেই রয়েছে তোফা ও তহুরা।
গত ২৯ সেপ্টেম্বর গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার দহবন্দ ইউনিয়নের ঝিনিয়া গ্রামের রাজু মিয়ার স্ত্রী সাহিদা বেগম নিজ বাড়িতে স্বাভাবিকভাবেই তোফা-তহুরার জন্ম দেন। কোমরের কাছে জোড়া ছাড়া শিশু দুটির সব অঙ্গপ্রত্যঙ্গই ছিল আলাদা। শুধু প্রস্রাব-পায়খানার রাস্তা ছিল একটি।
অধ্যাপক ডা. সাহনুর ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ওরা শারীরিকভাবে ভালো আছে, মায়ের বুকের দুধের পাশাপাশি অন্যান্য স্বাভাবিক খাবারও খাচ্ছে। যেসব জটিলতা ছিল, এখন সেগুলোর কিছুই নেই। তবুও ওদের আমরা পুরোপুরি শঙ্কামুক্ত বলছি না, একেবারে বাড়ি না যাওয়া পর্যন্ত।’ কবে নাগাদ তোফা ও তহুরা বাড়ি যেতে পারবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। আশা করছি, আগামী সপ্তাহ নাগাদ ওদের ছুটি দিতে পারবো।’