মতিঝিল আইডিয়ালের ভুয়া শিক্ষকের তালিকা চেয়েছে মন্ত্রণালয়

মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজমতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যন্ড কলেজের ভূয়া শিক্ষকের তালিকা চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)মহাপরিচালকের কাছে এই তালিকা চাওয়া হয়। অভিযোগ ছিল এই প্রতিষ্ঠানে অনেক শিক্ষক ভুয়া সনদে চাকরি করছেন।
গত ১৬ আগস্ট মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ অধ্যক্ষ সব শিক্ষকের সনদ যাচাইয়ের পর ভুয়া শিক্ষকদের তালিকা মন্ত্রণালয়ে দাখিল করবেন। এই সিদ্ধান্তের পর রবিবার (২৭ আগস্ট) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ মাউশির মহাপরিচালকের কাছে ভুয়া শিক্ষকদের তালিকা চায়।

এর আগে মাউশিকে সব শিক্ষকের সনদ যাচাই করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয় মন্ত্রণালয়। অভিযোগ ছিল অনেক শিক্ষক ভূয়া সনদে মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যন্ড কলেজে শিক্ষকতা করছেন। গত মে মাসে প্রতিষ্ঠানটির মতিঝিল শাখার সহকারী প্রধান শিক্ষক আব্দুস ছালাম খানের বিএড সনদ ভুয়া বলে প্রমাণিত হয়। এরপর মাউশি ছালাম খানের এমপিও স্থগিত করে। পাশাপাশি চাকরিচ্যুত করতে ম্যানেজিং কমিটিকে চিঠি দেয় ঢাকা শিক্ষাবোর্ড। এই নির্দেশনার বিরুদ্ধে ছালাম খান হাইকোর্টে রিট আবেদন করলে তা স্থগিত করেন আদালত। তবে এ ঘটনার পর বিভিন্ন পর্যায় থেকে মন্ত্রণালয়ের কাছে অভিযোগ করা হয়— ভুয়া সনদে মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে শিক্ষকতা করছেন অনেক শিক্ষক।

শিক্ষকদের ভুয়া সনদ বিষয়ে মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ শাহান আরা বেগম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এর আগে মন্ত্রণালয়ে একটি মিটিংয়ে হয়েছিল। ওই মিটিংয়ে আমাকে ডাকা হয়েছিল যারা দারুল ইহসানে বিএড করেছেন বা অন্য কোনও ডিগ্রি করেছেন তাদের সনদ যাচাই করতে বলা হয়েছে।’

তবে রবিবারের আদেশে সব শিক্ষকের সনদ যাচাইয়ের কথা বলা হয়েছে। শিক্ষক আব্দুস সালাম খান ছাড়া অন্য কোনও শিক্ষকের বিরুদ্ধে ভুয়া সনদের অভিযোগ রয়েছে কিনা জানতে চাইলে শাহান আরা বেগম বলেন, ‘শিক্ষকদের কোন কোন সনদ যাচাই করার কথা বলা হয়েছে তা কাল আদেশ দেখে বলতে পারবো।’

মতিঝিল আইডিয়ালের শিক্ষকদের সনদ যাচাইয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে মাউশির পরিচালক প্রফেসর মো. এলিয়াছ হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘শিক্ষক আব্দুস সালাম খান ছাড়া আর কোনও শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমাদের কাছে নেই। মন্ত্রণালয়ের কাছে হয়তো থাকতে পারে।’

মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, যাচাই করে কোনও শিক্ষকের ভুয়া সনদ পেলে তাদের এমপিও বাতিল হবে এবং চাকরিচ্যুত করা হবে।