এর আগে বেলা সোয়া ৯টার দিকে মুক্তামুনিকে অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয়। আর সকাল ৮টার দিকে মুক্তামনির কেবিনে গিয়ে তার শারীরিক অবস্থা অপারেশনের জন্য উপযুক্ত আছে কিনা-তা পর্যবেক্ষণ করেন চিকিৎসকরা।
পর্যবেক্ষণ শেষে বের হয়ে যাওয়ার সময় ঢামেকের অধ্যক্ষ ডা. খান আবুল কালাম আজাদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমাকের উদ্বেগের অনেক খানি জায়গা জুড়ে আছে মুক্তামনি। এর সঙ্গে রয়েছে পুরো দেশবাসী। প্রথম অপারেশন সফল হওয়ায় আমাদের মনোবল ও আত্মবিশ্বাস সবই বেড়েছে। এখন অনেক বিরল রোগের রোগীরা বার্ন ইউনিটে আসছেন, শুধুমাত্র আমাদের সফলতার খবর শুনে।’
অপারেশনের আগে শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করতে মুক্তামনির কেবিনে যান ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের (ঢামেক) অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. খান আবুল কালাম আজাদ, ঢামেক হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন, একই ইউনিটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম, জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা. শারমিন সুমি।
উল্লেখ্য, গত ১২ জুলাই ঢামেক হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে ভর্তির পর প্রাথমিকভাবে চিকিৎসকরা চারটি রোগের কথা ধারণা করলেও পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর দেখা গেছে, লিমফেটিক ম্যালফরমেশন রোগে ভুগছে মুক্তামনি। এটি একটি জন্মগত রোগ (কনজিনেটাল ডিজিস)। এর বিশেষত্ব হচ্ছে, জন্মের পরপরই কিছু ক্ষেত্রে এর প্রকাশ পায় কারও কারও ক্ষেত্রে, কারও-কারও ক্ষেত্রে পায় না। এরইমধ্যে সফলভাবে মুক্তামনির একটি অপারেশন করেছেন চিকিৎসকরা। আজ তার দ্বিতীয় অপারেশন।
আরও পড়ুন:
মুক্তামনির চিকিৎসায় সিঙ্গাপুর ব্যর্থ হলেও আমরা সফল হবো: ঢামেক অধ্যক্ষ
হঠাৎ জ্বর আসায় মুক্তমনির আংশিক অপারেশন সম্পন্ন