‘ভাবিনি হাসপাতালে এমন খাবার পাবো’

ঈদের দিনে হাসপাতালে সরবরাহ করা উন্নত খাবারসন্তান প্রসবের সময় যতোই ঘনিয়ে আসছিল, ততোই নানা ধরনের জটিলতা দেখা দিয়েছিলো নারায়ণগঞ্জের মুশফেকা ইসলামের। মঙ্গলবার ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। শুক্রবার অস্ত্রোপচারের রয়েছেন পোস্ট অপারেটিভ ওয়ার্ডে। তার একপাশে দুই দিনের কন্যা শিশু। বেড়ে একটি থালায় রয়েছে পোলাও, মুরগির রোস্ট ও ডিমভুনা, সঙ্গে কোমল পানীয়। হাসপাতালের এমন খাবার ভাবেননি মুশফেকা।
ঈদের দিন হাসপতালের বেডে শুয়ে মুশফেকা তার অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন, ‘ঈদের দিনে হাসপাতালগুলোতে কেমন খাবার দেওয়া হয় জানার ইচ্ছে ছিল। আজ নিজেই রোগী হয়ে হাসপাতালে আছি। ‘খাবার খুব ভালো, ভাবিনি হাসপাতালে এমন খাবার পাবো।’

হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি রয়েছেন মোকাররম হোসেন। হাসপাতালের খাবারের মান ভালো হওয়ায় তিনিও খুশি। জানালেন আজকের খাবারের মান ভালো। খাবারের পরিমাণও বেশি। এই ওয়ার্ডের অনেকেই একটি খাবার দু’জনে খেয়েছেন।’

শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) কোরবানির ঈদের দিন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সরকারি হাসপাতালগুলোতে সকাল, দুপুর এবং রাতে এই উন্নত মানের খাবার দেওয়া হয়েছে রোগীদের।

ঈদের দিন হাপাতালে উন্নত খাবার পেয়ে খুশি রোগীরাঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সকালে দেওয়া হয়েছে, সেমাই, দুপুরে পোলাও, দুই টুকরো মুরগির রোস্ট আর একটি করে ডিম ভুনা। হাসপাতালের রোগীরা জানালেন, খাবারের মান ভালো ছিল। পঙ্গু হাসপাতাল, জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইন্সটিটিউট, সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ঈদের দিনের খাবার বলে জানিয়েছেন রোগীরা।

জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালে ছেলে সিদ্দিকুর রহমানকে নিয়ে হাসপাতালের ভিআইপি কেবিনে রয়েছেন মা সুলেমা খাতুন। ঈদের দিনে সকালে হাসপাতাল থেকে পায়েশ আর রুটি দেওয়া হয়েছে তাদের। পরে দুপুরে দেওয়া হয়েছে পোলাও আর মুরগীর মাংস।

জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. গোলাম মোস্তফা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বরাবরই সরকারি হাসপাতালগুলোতে ঈদের দিনে রোগীদের জন্য উন্নত মানের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। সব রোগীদের জন্য সকালে এবং দুপুরে বিশেষ খাবার রান্না হয়েছে। রাতেও এই খাবার দেওয়া হবে, বলেন অধ্যাপক ডা. গোলাম মোস্তফা।

শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ডা. গোবিন্দ চন্দ্র রায় বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমাদের হাসপাতালে সকাল থেকেই উন্নত মানের খাবার দেওয়া হয়েছে। সকালে মিষ্টি জাতীয় খাবার, দুপুরে পোলাও আর মুরগীর মাংস দেওয়া হয়েছে। রাতেও সেই খাবার দেওয়া হবে। বিশেষ এই দিনে সবারই চাওয়া থাকে, ভালো খাবার খাওয়ার। তাই সব সরকারি হাসপাতালেই এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়।’