প্রশ্নপত্র ফাঁস ঠেকাতে এমসিকিউ পদ্ধতি বাদ দেওয়ার পক্ষে সচিব

সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত পরিমার্জিত পাঠ্যবই হস্তান্তর অনুষ্ঠানপ্রশ্নপত্র ফাঁস ঠেকাতে এমসিকিউ পদ্ধতি পুরোপুরি বাদ দেওয়ার পক্ষে অভিমত দিয়েছেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোহরাব হোসাইন। তিনি বলেন,এমসিকিউ পরিপূর্ণভাবে উঠিয়ে দেওয়া উচিত। মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনে কক্ষে আয়োজিত নবম-দশম শ্রেণির বিজ্ঞানের ছয়টি বইয়ের পরিমার্জিত সংস্করণ হস্তান্তর অনুষ্ঠানে সচিব এ কথা বলেন।

সোহরাব হোসাইন বলেন, আমাদের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজ নিয়ে সমালোচনা হয়। জবাব দিতে পারি না। যেমন ধরুন আমাদের প্রশ্নপত্র নিয়ে অনেক সমালোচনা হয়। কেউ কেউ এমনও লিখেছেন- মন্ত্রী, সচিব ও উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন আউট করে দিচ্ছেন। মন্ত্রী, সচিব বা বোর্ডের চেয়ারম্যানের প্রশ্নপত্র দেখার কোনও সুযোগ নেই।

শিক্ষকরা প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টি তুলে ধরে সোহরাব হোসইন বলেন, প্রশ্ন ফাঁসের কোনও সূত্র পেলে আমাদের জানান। আমরা ধরার চেষ্টা করবো। কিন্তু অনেকেই সেই সূত্র দিতে চান না।

প্রশ্ন ফাঁস ঠেকানোর বিষয়ে সচিব বলেন, পরীক্ষার হলে তাৎক্ষণিকভাবে প্রশ্নপত্র ছাপিয়ে পরীক্ষা নেওয়া যায় কিনা। আমরা চেষ্টা করছি দেশের সেরা মানুষ যারা, তাদের সহযোগিতা নেওয়ার জন্য। অধ্যাপক জাফর ইকবাল ও  অধ্যাপক কায়কোবাদের সহযোগিতা নেওয়ার কথাও উল্লেখ করেন তিনি।

প্রশ্ন ফাঁস হওয়া ও ভুয়া প্রশ্ন তৈরি করে সেগুলো ছড়িয়ে দেওয়া নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন সচিব। তিনি বলেন, এমসিকিউ পদ্ধতি বোধহয় পরিপূর্ণভাবে উঠিয়ে দেওয়াই উচিত। এটা আমার ব্যক্তিগত অভিমত। আমরা নিশ্চয় আগামীতে আপনাদের (শিক্ষাবিদ) সঙ্গে বসবো। কেন বলছি, এমসিকিউ কিভাবে ধ্বংস করছে। বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান শিক্ষকদের যেকোনও উপায়ে কনভিন্স করে। এরপর পরীক্ষা কক্ষের সব শিক্ষার্থীদের ৩০ নম্বর দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। অর্থের বিনিময়েও এসব হচ্ছে বলে আমাদের কাছে রিপোর্ট আসছে।

অনুষ্ঠানে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব অরুনা বিশ্বাস, চৌধুরী মুফাদ আহমেদ ও রুহী রহমানসহ সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

 

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট