ক্যান্সার প্রতিরোধে বিড়ি-সিগারেটের দাম বাড়ানোর আহ্বান বি. চৌধুরীর

বক্তব্য রাখছেন অধ্যাপক এ.কিউ.এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী

ক্যান্সার প্রতিরোধে বিড়ি ও সিগারেটের দাম বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন প্রখ্যাত চিকিৎসক সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক এ.কিউ.এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘বিড়ি, সিগারেট, হুকা, গুল, জর্দা ক্যান্সারের অন্যতম কারণ। তা সত্ত্বেও যারা অর্থমন্ত্রী থাকেন, তারা কেউই এইগুলোর দাম কমাতে চান না। কারণ, তামাকজাত পণ্য থেকেই সরকারের রাজস্ব আয় বেশি হয়।’

মোসাব্বির ক্যান্সার কেয়ার সেন্টারের চেয়ারম্যান লে. কর্নেল (অব.) মোদাশ্বের হোসেন খান (অব. ) বীর প্রতীক-এর সভাপতিত্বে শুক্রবার দুপুরে ডেইলি স্টার সেন্টারের আজিমুর রহমান মিলনায়তনে আয়োজিত ‘ক্যান্সার প্রতিরোধে সচেতন নাগরিক ও গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বি. চৌধুরী প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। 

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক  উপদেষ্টা মাহবুব জামিল, ডেইলি স্টারের সহযোগী সম্পাদক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহেদুল আনাম খান, এটিএন বাংলা’র উপদেষ্টা নওয়াজীশ আলী খান, অধ্যাপক এম এ মান্নান, সবুজবাংলা২৪ ডটকমের সম্পাদক মুহাম্মদ মাহমুদুল হাসান প্রমুখ।

বি. চৌধুরী গণমাধ্যমকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘দেশের সব সংবাদ মাধ্যমেই স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি প্রোগ্রাম থাকে, যা প্রশংসনীয়।’ তিনি বলেন, ‘ক্যান্সার সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানোর চেষ্টা করতে হবে। ক্যান্সার কোনও ছোঁয়াচে রোগ নয়। এটি প্রতিরোধ করা যায়।’ একমাত্র ক্যান্সারের ডাক্তাররা রোগীর বুকে-বগলে হাত দিয়ে পরীক্ষা করে দেখেন উল্লেখ করে এই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক আরও বলেন, ‘দেশে চারশোর মতো স্বাস্থ্যকেন্দ্রে মাত্র তিন জন করে চিকিৎসককে ক্যান্সার বিষয়ে কমপক্ষে বছরে একবার হলেও প্রশিক্ষণ দিতে হবে।’

আলোচনা সভার আয়োজক প্রতিষ্ঠান মোসাব্বির ক্যান্সার কেয়ার সেন্টারের প্রশংসা করে সাবেক এই রাষ্ট্রপতি দেশে ক্যান্সার চিকিৎসার জন্য এই ধরনের আরও অলাভজনক সেবামূলক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার জন্য সরকার, চিকিৎসক ও বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

আলোচনা সভায় উল্লেখ করা হয়, দেশে প্রতিবছর নতুন করে ১ এক লাখ  ৪১ হাজার মানুষ  ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছে। সেই তুলনায় বিশেষায়িত চিকিৎসা কেন্দ্র, জনবল ও যন্ত্রপাতির ঘাটতি রয়েছে। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার মানদণ্ড অনুযায়ী দেশে ১৬০টি ক্যান্সার চিকিৎসা কেন্দ্র থাকা দরকার। অথচ আছে মাত্র ২০টি। চিকিৎসা ব্যয় বহুল ও সময় সাপেক্ষ। এই মরণব্যাধি রোধে সবচেয়ে  কার্যকর পন্থা হচ্ছে জনসচেতনতা। অনুষ্ঠানে ক্যান্সার বিষয়ক প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়।