প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারিকরণের চিঠি জাল, বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারি করে দেওয়ার নাম করে একটি চক্র দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষকদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করছে বলে অভিযোগের প্রমাণ পেয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। আর এই চক্রকে ঠেকাতে দেশের সব জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (বিদ্যালয়-১) পুলক রঞ্জন সাহা বাংলা ট্রিবিউনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
যুগ্ম সচিব পুলক রঞ্জন বলেন, ‘এক শ্রেণির প্রতারক আমার স্বাক্ষর জাল করে সরকারিকরণের ভুয়া আদেশ সরবরাহ করে গরিব শিক্ষকদের সঙ্গে প্রতারণা করে টাকা আদায় করেছে। ভুয়া ওই আদেশ পেয়ে সংশ্লিষ্ট একাধিক বিদ্যালয়ের কমিটি সরকারিকরণ সংক্রান্ত্র যাচাই-বাছাই কমিটিতে চিঠি পাঠায়। বিষয়টি জানার পর আমরা বিদ্যালয়গুলোকে প্রতারণার হাত থেকে বাঁচাতে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের সতর্ক করেছি।’
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সরকারিকরণ সংক্রান্ত যাচাই-বাছাই কমিটিতে কয়েকটি বিদ্যালয়ের সরকারিকরণের ভুয়া আদেশের চিঠি উপস্থাপিত হলে মন্ত্রণালয় বিষয়টি জানতে পারে। এরপর মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়।
মন্ত্রণালয়ের ওই নির্দেশনায় বলা হয়, প্রায়ই প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারিকরণের নামে জেলা যাচাই-বাছাই কমিটির সভায় উপস্থাপনের জন্য কিছু অসাধু ব্যক্তি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সই জাল অথবা স্ক্যান করে জেলা ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে চিঠি দিচ্ছেন। এর ফলে মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন অনিয়ম, বিশৃঙ্খলা ও বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে। বেশকিছু জেলা থেকে এসব ভুয়া চিঠির সন্ধান পাওয়া গেছে।
নির্দেশনায় মন্ত্রণালয় বলেছে, এ অবস্থায় প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারিকরণ সংক্রান্ত মন্ত্রণালয়ের জারি করা চিঠির মূল কপি ইমেইলে অথবা ডাকযোগে না পেলে এই চিঠির কোনও ফটোকপি কোনও ধরনের কার্যক্রমে গ্রহণযোগ্য হবে না। বিদ্যালয় সরকারিকরণের কোনও চিঠি নিয়ে সন্দেহ হলে টেলিফোনে বা ইমেইলে বিষয়টি নিশ্চিত হতেও অনুরোধ জানানো হয় ওই নির্দেশনায়। দেশের সব জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের এ নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমান সরকারের সময় নতুন করে সরকারি হয়েছে ২৫ হাজার ২৪০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়।