আসকের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৫ সেপ্টেম্বর সকালে ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গি উপজেলার বাসিন্দা আব্দুর রাজ্জাককে (২২) বিএসএফ অবৈধ অনুপ্রবেশকারী হিসেবে সীমান্ত এলাকা থেকে আটক করে। পরে গুরুতর জখম অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল বলে জানা যায়। গত ফেব্রুয়ারিতে ৪৪তম সীমান্ত সম্মেলনে বিএসএফ-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়, তারা আত্মরক্ষার্থে নন-লেথাল অস্ত্রের ব্যবহার করেন। এছাড়া সীমান্তে মৃত্যুর সংখ্যা শূণ্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে যৌথ পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়েও তারা সম্মত হয়েছিল।কিন্তু আসক গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছে যে, বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে বিএসএফের হাতে নিরপরাধ-নিরস্ত্র বাংলাদেশি নাগরিক হত্যার ঘটনা অব্যাহত রয়েছে। যা অত্যন্ত নিন্দনীয়। এ ধরনের ঘটনা মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন এবং প্রতিটি জীবনের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেওয়া যেকোনও দেশেরই দায়িত্ব।
আসক প্রত্যাশা করে, সীমান্তে হত্যা ও নির্যাতন বন্ধে বাংলাদেশ-ভারত শুধুমাত্র আলোচনায় সীমাবদ্ধ না থেকে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে এবং অভিযুক্তদের বিচার নিশ্চিত করবে।
এদিকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) জনসংযোগ কর্মকর্তা মুহম্মদ মোহসিন রেজা জানিয়েছেন, ঠাকুরগাঁও সীমান্তের বিপরীতে ভারতের মধ্যে বিএসএফের গুলিতে নিহত ব্যক্তি বাংলাদেশি নয়।