সরিষাবাড়ির মেয়রকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে গোয়েন্দা পুলিশ

মেয়র রুকনুজ্জামান রুকনঅপরহণ রহস্য উদঘাটন করতে ‘অপহৃত’ হওয়ার এক দিন পর উদ্ধার হওয়া জামালপুরের সরিষাবাড়ির মেয়র রুকনুজ্জামানকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। কারা ও কোন উদ্দেশ্যে তাকে অপহরণ করেছিল, সে বিষয়ে গোয়েন্দা পুলিশের সংগৃহীত তথ্যের সাথে মেয়রের বক্তব্য যাচাই করার জন্য জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। রবিবার (১ অক্টোবর) ঢাকা মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার শেখ মো. নাজমুল আলম বাংলা ট্রিবিউনকে এই তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘মেয়র রুকনুজ্জামান সুস্থ হলে সবকিছু জানাবেন বলে একটি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন। আমরাও তার বক্তব্য শুনব।’
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মেয়র রুকনুজ্জামানের বড় ভাই সাইফুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমার ছোট ভাই একটি পত্রিকার মাধ্যমে সংবাদ সম্মেলন করে সবকিছু জানানোর কথা বলেছেন। এর পরপরই বিভিন্ন মাধ্যম থেকে তাকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আমরা এখন নিরাপত্তাহীনতায় আছি।’
সাইফুল ইসলাম আরও বলেন, ‘কারা ও কী কারণে আমার ভাইকে অপহরণ করেছিল, তা আমার এলাকার সব মানুষই জানে। কিন্তু আমি বলতে পারছি না। আমরা এই অপহরণের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করব নাকি গোপন রাখব, তা আমার ভাই সুস্থ হওয়ার পর জানাব।’
মৌলভীবাজার থেকে উদ্ধার হওয়ার পর মেয়র রুকনএই অপহরণের ঘটনার তদন্তে নিয়োজিত ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একজন কর্মকর্তা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘মেয়র রুকনুজ্জামান অপহরণের পরের দিন পরিবারের সবাইকে গোয়েন্দা কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদ চলাকালে আধাঘণ্টার ব্যবধানে অপহৃত মেয়রের খোঁজ পাওয়া যায় মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে। গোয়েন্দা পুলিশের কাছে বিষয়টি সন্দেহজনক হওয়ায় তার বিস্তারিত তথ্য উদঘাটন করা হয়। এতে মেয়রের মোবাইল ফোন থেকে একজন অপরিচিত নারীর সঙ্গে অস্বাভাবিক যোগাযোগের তথ্য পাওয়া গেছে। এমনকি তার সঙ্গে বেশকিছু গোপন অবস্থানের ডকুমেন্টসও আছে পুলিশের কাছে।’
এমন তথ্য প্রসঙ্গে মেয়র রুকনুজ্জামানের বড় ভাই সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আমার ভাই আওয়ামী লীগের রাজনীতি করলেও তার পক্ষে পেশীক্ষমতা দেখানোর লোকবল নেই। ওই ধারার রাজনীতি সে করে না। তাই একটি মহল আমার ভাইয়ের বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে বিভিন্ন ধরনের আজেবাজে কাহিনী ছড়াচ্ছে। একাধিক স্ত্রী থাকতেই পারে। কিন্তু অপহরণের সঙ্গে এসব বিষয়ের কোনও সম্পর্ক নেই।’
উল্লেখ্য, গত ২৫ সেপ্টেম্বর জামালপুরের সরিষাবাড়ী পৌরসভার মেয়র রুকনুজ্জামান রাজধানী ঢাকার উত্তরার ১৩ নম্বর সেক্টরের বাসা থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হয়েছিলেন। পরে ২৭ সেপ্টেম্বর মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার কালীঘাট ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের সামনে থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়
আরও পড়ুন-
হোসেনি দালানে বোমা হামলার চার ‘জঙ্গি’ জামিনে
রামু সহিংসতার ৫ বছর: সাক্ষীরা হাজির না হওয়ায় বিচারে বিলম্ব