অনুষ্ঠানে শুদ্ধানন্দ মহাথেরো বলেন, ‘প্রায় ১০ লাখ লোকের সামনে চীনে আমি বক্তব্য দিয়েছিলাম। সেখানে একুশটি দেশের প্রতিনিধিরা ছিলেন। মন্ত্রী, এমপিরা উপস্থিত ছিলেন। সেখানে তারা আমাকে বললেন, যদি বাংলাদেশ থেকে সরকার আপনাকে পাঠায় তাহলে আমরা বরণ করে নেবো। আমি বললাম, আমি এভাবে যেতে পারি না। আমাদের দেশে গণতান্ত্রিক সরকার বর্তমানে রয়েছে।’
রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতনের কয়েকদিন আগে মিয়ানমার গিয়েছিলেন উল্লেখ করে শুদ্ধানন্দ মহাথেরো বলেন, ‘এই গণ্ডগোলের কয়েকদিন আগে আমি বার্মায় গিয়েছিলাম। সেখানে অং সান সু চির সঙ্গে আমি দেখা করেছি। আমি তাকে বললাম, যেখানে খ্রিস্টানকে জায়গা দিতে পারেন, তাহলে তারা বাঙালি হোক, রোহিঙ্গা হোক– তারা মানুষ, তাদেরও জায়গা দিন। তাদের ব্যবস্থা করেন। তিনি আমার কথার কোনও উত্তর দেননি।’
মহাথেরো বলেন, ‘আমাকে কাল সিঙ্গাপুর থেকে ২০ হাজার কাপড় পাঠাতে চেয়েছে। আমি তাদের বলেছি, আমার দেশের প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠিয়ে দেন। আমার দেশের নেত্রী আছেন, যিনি জাতির জনকের কন্যা, যে কাজটা করেছেন, এজন্য যদি কিছু পাওনা থাকে তো সেটা তার। শুধু নোবেল নয়, তার ওপরে যদি কিছু থাকে, তাহলে তাকে দেন।’
মহাথেরোর বক্তব্যের পর অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, ‘মহাথেরোর কথা সত্যি হোক। মানবতার জন্য, শান্তির জন্য যদি কাউকে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়, তাহলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনারই তা পাওয়া উচিত।’