ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহটি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের (ঢামেক) মর্গে রাখা হয়েছে। ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘শিশুটির রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে অভিহিত করা হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘শিশুটির গলায় কালো দাগ রয়েছে।’
ইশরাতের বাবা মিজানুর রহমান মুরগি বিক্রেতা, মা শিউলী বেগম ঢামেকে হাসপাতালে আয়ার কাজ করেন। তিন বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে সে ছিল সবার ছোট।
শিশুটির বড় বোন মিম জানায়, ‘মা-বাবা দুজনেই ছিলেন কাজে। আমি ইশরাতকে ঘরে রেখে পাশের রুমে কাজে যাই, সে তখন খাটের ওপর বালিশ, কোল বালিশ, ওড়না নিয়ে খেলা করছিল। আধা ঘণ্টা পর ঘরে গিয়ে দেখি ইশরাত কোলবালিশের ওপর ঘুমিয়ে রয়েছে। ওড়নাটি তার গায়ের ওপর ছিল। ওই রুমে ফ্যান না থাকায় আমি তাকে পাশের রুমে ফ্যানের নিচে রেখে আসি। পরে সন্ধ্যা হয়ে গেলেও সে ঘুম থেকে উঠছে না দেখে ডাকাডাকি করি। তাতেও না উঠলে তার মাথায় পানি ঢেলে দেই। পরে প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় তাকে পাশের একটি ফার্মেসিতে নিয়ে যাই।’
মিম আরও জানায়, খবর পেয়ে সন্ধ্যা ৭টায় মা-বাবা এসে ইশরাতকে ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ইশরাতকে মৃত ঘোষণা করেন। তার গলায় দাগ থাকায় ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেন।