দুদক সূত্রে জানা গেছে, তিনটি ব্যাংকে নামে-বেনামে সঞ্চয়ী হিসাব খুলে চার কোটি ৩৪ লাখ ৪ হাজার ৪৫০ টাকা জমা করে নিজে উত্তোলন করেছেন মু. শহীদুল আলম।
দুদক কর্মকর্তারা জানান, এই টাকা তিনি পিডিবির সহকারী প্রকৌশলী থেকে প্রধান প্রকৌশলী পর্যন্ত বিভিন্ন পদে কর্মরত থাকা অবস্থায় ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জন করেছেন। তিনি স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকে নিজ নামে একটি সঞ্চয়ী হিসাব পরিচালনা করেন। যেখানে ২০০২ সালের ৯ জুলাই থেকে ২০০৫ সালের ২০ মার্চ পর্যন্ত এক কোটি ৫ লাখ ৩৮ হাজার টাকা জমা করেন। যা পরে তিনি নিজেই উত্তোলন করেন।
যমুনা ব্যাংকে সঞ্চয়ী হিসেব খুলে ২০০৪ সালের ২৩ মার্চ থেকে ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত এক কোটি ৪৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা জমা করেন। যা পরে সেখান থেকে নিজ নামে এবং ভুয়া ব্যক্তি সাজিয়ে ব্যাংকিং চ্যানেলে ১৪টি এফডিআর সৃষ্টিসহ বিভিন্নভাবে জটিল লেয়ারিং প্রক্রিয়ায় তা উত্তোলন করেন।
সাউথ ইস্ট ব্যাংকে ২০০৪ সালে ১ ডিসেম্বর থেকে ২০০৫ সালের ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পরিচয় গোপন করে প্রাইভেট ইঞ্জিনিয়ার পরিচয়ে সঞ্চয়ী হিসেবে এক কোটি ৭৯ লাখ ১৬ হাজার ৪৫০ টাকা জমা করেন তিনি। ওই হিসাব থেকে এক কোটি টাকা ৭০ লাখ টাকা উত্তোলনও করেন। একই ব্যাংকে পরে নিজ নামে এবং ভুয়া ব্যক্তি সাজিয়ে ব্যাংকিং চ্যানেলে ১২টি এফডিআর সৃষ্টিসহ বিভিন্নভাবে জটিল লেয়ারিং প্রক্রিয়ায় তা উত্তোলন করেন।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আরও জানান, পিডিবির সাবেক প্রধান প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ধারায় আরও একটি মামলা রুজুর সুপারিশ করা হয়েছে।
এদিকে, মু. শহীদুল আলম ২০১০ সালের ১৪ জানুয়ারি দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ২৪ লাখ ৪২ হাজার ৪৯৫ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করে মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন। যা দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬(২) ধারা মোতাবেক অপরাধ। এছাড়া, তার অসাধু উপায়ে, জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ওই টাকা সমমূল্যের সম্পদের মালিকানা থাকায় দুদক আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারায় অভিযুক্ত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে দুদক আইন, ২০০৪ এর ২৬(২) এবং ২৭(১) ধারায় একটি মামলা (এফআইআর) রুজুর সুপারিশ করে প্রতিদেন দাখিল করেছে কমিশন।