শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংস্থাটি এতথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক অ্যান্থনি লেক জানান, বাংলাদেশে আসা অনেক রোহিঙ্গা শিশু মিয়ানমারে নৃশংসতার প্রত্যক্ষদর্শী, যা কোনও শিশুর কখনও হওয়া উচিত নয়। এসব শিশু এই ভয়াবহতার ক্ষত বয়ে বেড়াচ্ছে। এই শিশুদের দ্রুত খাদ্য, নিরাপদ পানি, স্যানিটেশন এবং রোগ প্রতিরোধের জন্য ভ্যাকসিন দেওয়া প্রয়োজন। তাদের জন্য শিক্ষা ও কাউন্সিলিং প্রয়োজন। এখনই এসব ব্যবস্থা না করা গেলে, তারা কিভাবে সমাজের সৃজনশীল নাগরিক হয়ে উঠবে। এই সংকট তাদের শৈশবকে চুরি করছে। আমরা তাদের ভবিষ্যত নষ্ট হতে দিতে পারি না।
ইউনিসেফ চারটি প্রধান বিষয়ে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণেরও আহ্বান জানিয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে, রোহিঙ্গা শিশুদের জন্য আন্তর্জাতিক মানবিক সাহায্য, রাখাইন রাজ্যে সহিংসতার শিকার সব শিশুর মানবিক সাহায্য, বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শিশুদের মানবিক সহায়তার পরিকল্পনা ও তাদের পরিবারের সুরক্ষার বিষয়টি। এছাড়া রোহিঙ্গাদের নিরাপদ এবং সম্মানজনকভাবে মিয়ানমারে প্রত্যাবর্তনের জন্য সমর্থন এবং রাখাইন রাজ্যের সংকট দীর্ঘ মেয়াদী সমাধানের জন্য উপদেষ্টা কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন প্রয়োজন বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করে ইউনিসেফ।
আরও পড়ুন:
এতিম রোহিঙ্গা শিশুদের জন্য হচ্ছে 'শিশুপল্লি'
রোহিঙ্গা শিশুর সংখ্যা ছাড়িয়ে যেতে পারে ৬ লাখ, স্বাস্থ্যঝুঁকিতে দেড় লাখ