জবি ছাত্রলীগে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, আহত ৫

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে রড-লাঠিসোঁটা ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এসময় সংঘর্ষে পাঁচ ছাত্রলীগ কর্মী আহত হয়। আহতদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তারা হলেন, জবি অষ্টম ব্যাচের শিক্ষার্থী সুজন দাস অর্ক, নবম ব্যাচের আশিকুল ইসলাম আশিক, দশম ব্যাচের জাওয়াত ও নাবিল, ১১তম ব্যাচের সাগর।

শনিবার (২৮ অক্টোবর) বিকালে জবি ক্যাম্পাসে এ ঘটনা ঘটে। এসময় কয়েকজন কর্তব্যরত পুলিশের ওপরও হামলা করে তারা। একটি জাতীয় দৈনিকের প্রতিনিধি সোহেল হাসানকে লাঞ্ছিত করে তার মোবাইল ফোন ভেঙে ফেলা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের গ্রুপের কর্মী সুজন দাস অর্কের সঙ্গে সভাপতি গ্রুপের কর্মী রিসাদের টিএসসিতে দোকানের টাকার ভাগবাটোয়ারা নিয়ে দ্বন্দ্বের সূত্রপাত হয়। পরে রিসাদ ক্যাম্পাসে তার দলবল নিয়ে অর্কের ওপর হামলা চালায়। পরে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দুই পক্ষ। এসময় আহত হন সাধারণ সম্পাদক শেখ জয়নাল আবেদীন রাসেলের ওই পাঁচ কর্মী। পরে নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

এ বিষয়ে সাধারণ সম্পাদক শেখ জয়নাল আবেদীন রাসেল বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমরা কমিটিতে আসার পরই জবি টিএসসিকে দখলমুক্ত করেছি। টিএসসিতে কোনও দোকান ছিল না। কিন্তু সভাপতি তরিকুল ইসলাম তুর্যের কর্মী রিসাদ টিএসসিতে একটি দোকান বসিয়ে চাঁদাবাজি শুরু করে। এতে অর্ক তাকে বাধা দিতে গেলে সে অর্কের ওপর সদলবলে হামলা করে।

রিসাদকে নিজ গ্রুপের কর্মী স্বীকার করে সভাপতি তরিকুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমরা ছাত্রলীগের কেউ টিএসসির চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত নই। রিসাদ কেন টিএসসিতে গেল সে বিষয়ে তার কাছে জানতে হবে। এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে আমরা আহত সবার চিকিৎসার ব্যবস্থা করছি।’

এ বিষয়ে জবি প্রক্টর ড. নুর মোহাম্মদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আজ  ক্যাম্পাস বন্ধ। কিন্তু আমি ছাত্রলীগের একটি সংঘর্ষের কথা শুনেছি। আমরা ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে কী কারণে এ সংঘর্ষ তা জানা যায়নি।