মৃত আসামিকে পলাতক দেখানোয় মহেশখালীর এক এসআইকে ট্রাইব্যুনালে তলব

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল

মৃত আসামিকে পলাতক দেখিয়ে প্রতিবেদন দেওয়ায় কক্সবাজারের মহেশখালী থানার এসআই জহিরুল হককে তলব করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আগামী ২৬ নভেম্বর তাকে সশরীরে হাজির হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।

একইসঙ্গে কক্সবাজার জেলার পুলিশ সুপার এবং মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে বলেছেন আদালত।

সোমবার (৩০ অক্টোবর)  ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এসময় ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন প্রসিকিউটর রানা দাসগুপ্ত এবং আর এ বিষয়টিকে আদালতের নজরে আনা আসামিপক্ষের আইনজীবী আব্দুস সাত্তার পালোয়ান।  

মৃত আসমিকে পলাতক দেখিয়ে প্রতিবেদন দেওয়ায় ওই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আবেদন করেছিল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন সংস্থা।

আবেদনের পরে প্রসিকিউটর রানা দাসগুপ্ত বলেছিলেন, ‘মানবতাবিরোধী অপরাধে মহেশখালীর ১৮ জনের বিরুদ্ধে আমরা আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করি। গত ২৫ মে অভিযোগ গঠনের শুনানির দিন ধার্য হয়। ওইদিন আইনজীবী আব্দুস সাত্তার জানান, আসামি আব্দুল মজিদ মারা গেছেন।’

তখন ট্রাইব্যুনাল জানতে চান এ বিষয়ে কোনও নথি আছে কিনা। জবাবে আব্দুস সাত্তার বলেন, ‘আমাকে অনুমতি দিলে খোঁজ নিতে পারি।’

পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়,  আসামি আব্দুল মজিদ ২০১৬ সালের ২২ ডিসেম্বর মারা গেছেন। তার মৃত্যুর খবরের সত্যতা যাচাই করতে এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম মহেশখালী থানার ওসি বরাবর প্রতিবেদন চেয়ে চিঠি দেন। পরে গত ৫ জুলাই পুলিশ আসামির মৃত্যুর খবরটি সত্য বলে প্রতিবেদন দাখিল করে।

প্রসিকিউটর রানা দাসগুপ্ত বলেন, ‘আসামি মারা যাওয়ার দুই মাস পরও পুলিশ জানে না আসামি মারা গেছে। এতে পুলিশের গাফলতির বিষয়টি প্রকাশ পেয়েছে। এ ধরনের প্রতিবেদন বিচারিক কাজে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করে।  আমরা ট্রাইব্যুনালের কাছে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা চেয়ে আবেদন করেছি।’