দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় সাহিত্য আয়োজন,সাহিত্যিকের সান্নিধ্যে আসার অনন্য সুযোগ,সাহিত্য-সংস্কৃতির আবাদভূমি, বইয়ের ভুবন,সামাজিক যোগাযোগ বৃদ্ধি পাবার পাঁচটি কারণে ঢাকা লিট ফেস্টকে এড়িয়ে যাওয়ার কোনও সুযোগ নেই।
ঢাকা লিট ফেস্টকে বলা হচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় সাহিত্য উৎসব। তিনদিনের এই উৎসবে সাহিত্য ছাড়াও থাকছে আর্ট, ইতিহাস, গান, সমাজ, ঐতিহ্য, বিজ্ঞান, গবেষণা, সাংবাদিকতাসহ নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা। তাই আপনার যদি বৈশ্বিক রাজনীতি, নারী অধিকার, সায়েন্স, কবিতা কিংবা গদ্য অথবা ইতিহাসের যেকোনও বিষয়ে আগ্রহ থাকে, তাহলে এই আয়োজন শুধুই আপনার জন্য।
সিরিয়ার কবি আদোনিস আপনার পাশ দিয়ে যাচ্ছে, আপনার ইচ্ছে হলেই মোবাইল ফোনটি পকেট থেকে বের করে তার সাথে একটি সেলফি তুলে নিলেন কিংবা বইয়ের অটোগ্রাফ দেওয়ার জন্য তিনি আপনার কলমটিকেই ধার চেয়ে বসলেন। পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী নন্দনা সেন আপনার কাছেই জানতে চাচ্ছেন- এক কাপ কফি কোথায় পেতে পারি? এগুলো আপাত কল্পনা মনে হলেও লিট ফেস্টে এমনটাই ঘটে। এখানে লেখক, তারকা, শিক্ষক, গবেষক, সাংবাদিক ও সাধারণ মানুষ একসঙ্গে নিজেদের ভাব আদান-প্রদান করেন। একই উৎসবে নোবেল, পুলিৎজার ও ম্যানবুকারজয়ীর সান্নিধ্যবঞ্চিত হওয়া কি উচিত হবে?
আগেই বলেছিলাম, নিজের মত-বিনিময়ের অনবদ্য সুযোগ এটি। শুধু মত-বিনিময় নয়, সংস্কৃতির আদান-প্রদানের বিশাল ক্ষেত্রও বলা চলে এটিকে। যাত্রাপালা,বাউল গান থেকে শুরু করে বাংলার ঐতিহ্যকেও হাতের নাগালে পাবেন খুব সহজেই।এটা শুধু সাহিত্যিকদের মিলনমেলা নয়, আপনার নিজস্ব সংস্কৃতি তুলে ধরা ও অন্যদের থেকে নেওয়ারও উৎসব।
শুধুই কি ভাবনার আদান-প্রদান? একইসঙ্গে রয়েছে কেনাকাটার সুযোগও। এখানে আপনি পাবেন বই কেনার অনন্য সুযোগ।অনেক দুর্লভ বইয়ের সম্ভার নিয়ে আসছে দেশি-বিদেশি বুকস্টলগুলো। কানে-কানে বলছি, গুডরিডসে পাওয়া যায় না এমন বইও এই তালিকায় রয়েছে। তাই বই কেনার বাজেট থাকলে ঢাকা লিট ফেস্টে ঢুঁ মারতেই হবে।
আর সবশেষে চায়ের কাপে আড্ডার ঝড় তোলা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে বের হয়ে যোগাযোগকে সত্যিকারের সামাজিক করেও তোলার সুযোগ রয়েছে এখানে। আপনি যদি একজন লেখক, পাঠক অথবা সাহিত্যের পোকা হয়ে থাকেন, তাহলে এক কাপ গরম চায়ের আড়ালে সাহিত্যিকদের তুমুল আলোচনার সঙ্গে আপনার ভাবনাগুলোকে কথপোকথনের মাধ্যমে বিনিময় করতে পারবেন। আর, হ্যাঁ, আপনার বাড়িতে থাকা শিশুটির জন্যও রয়েছে বিশেষ বিশেষ সেশন।