চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনে উপায় খুঁজতে নির্দেশ

চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসন বিষয়ক বৈঠক

চট্টগ্রাম মহানগরীর জলবদ্ধতা নিরসনে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে বাস্তবসম্মত ও দৃশ্যমান উপায় খুঁজে বের করার নির্দেশ দিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন, চট্টগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড ও চট্টগ্রাম ওয়াসাকে এ নির্দেশ দেওয়া হয়।  রবিবার (১২ নভেম্বর) সচিবালয়ে ‘চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে খাল পুনঃখনন, সম্প্রসারণ, সংস্কার ও উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সভায় এ নির্দেশ দেন মন্ত্রী।

খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘চট্টগ্রাম মহানগরী দেশের অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্র। চট্টগ্রাম সচল থাকলে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল থাকে। এ শহরের জলাবদ্ধতা যেকোনও মূল্যে দূর করতে হবে। জলাবদ্ধতা নিরসনের লক্ষ্যে সরকার একটি বাস্তবসম্মত ও সুপরিকল্পিত প্রকল্প আগামী ইংরেজী নববর্ষের আগে চট্টগ্রামবাসীকে উপহার দেবে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে খাল পুনঃখনন, সম্প্রসারণ, সংস্কার ও উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে হলে একটি সমন্বিত রূপরেখা প্রয়োজন। চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ), চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের, চট্টগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড ও চট্টগ্রাম ওয়াসার সমন্বয়ে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে একটি বাস্তবসম্মত ও দৃশ্যমান উপায় বের করতে হবে। সিডিএ’র মাধ্যমে জলাবদ্ধতা নিরসনের যে প্রকল্প অনুমোদিত হয়েছে তা বাস্তবায়নের পর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পড়বে সিটি করপোরেশনের ওপর। পাশাপাশি পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং চট্টগ্রাম ওয়াসাও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। তাই প্রকল্প বাস্তবায়নে সবার অংশগ্রহণ জরুরি।

মন্ত্রী আরও বলেন,‘চট্টগ্রামবাসী দীর্ঘদিন জলাবদ্ধতার মধ্যে বাস করছেন। আর জলাবদ্ধতার কারণে চট্টগ্রামের জনজীবন ও ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সব দিকে ভোগান্তি হচ্ছে। একটি টেকসই পরিকল্পনা ছাড়া এ সমস্যা দূর করা যাবে না। চট্টগ্রামে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের পাশাপাশি পাহাড় হতে নেমে আসা পানি ও জোয়ার থেকেও জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। এ সব বিষয় মাথায় রেখে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হবে।’

সভায় গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘সিডিএ’র মাধ্যমে একটি পরিপূর্ণ সমাধান উঠে এসেছে। এখন পর্যালোচনার মাধ্যমে এটি বাস্তবায়ন হলে জলাবদ্ধতা দূর হবে।’

পানি সম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, ‘চট্টগ্রাম শহরে জোয়ারের পানির চাপও একটি বড় সমস্যা। প্রকল্প বাস্তবায়নে পানি নিষ্কাশনের সময় শহরে যাতে পানি প্রবেশ না করে সে বিষয়টিও খেয়াল রাখতে হবে।’ সভায় স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব আবদুল মালেক ও পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য জুয়েনা আজিজসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থা ও দফতর প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।