হ‌ুমায়ূনের হিমু নিয়ে যা বললেন আহসান হাবীব

হুমায়ূন আহমেদহ‌ুমায়ূন আহমেদের সৃষ্ট চরিত্রগুলোর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় ও রহস্যময় হচ্ছে হিমু। হলুদ পাঞ্জাবি গায়ে খালি পায়ে হেঁটে বেড়ানো খেয়ালি এই তরুণকে নিয়ে ভক্তদের মধ্যে রয়েছে নানা প্রশ্ন। এবার হিমু রহস্য খোলাসা করলেন নন্দিত কথাসাহিত্যিক হ‌ুমায়ূন আহমেদের ছোট ভাই কার্টুনিস্ট আহসান হাবীব। তিনি জানালেন, হিমু চরিত্রটি আসলে তাদের বাবার বৈশিষ্ট্য থেকে নেওয়া!

সোমবার (১৩ নভেম্বর) বিকাল ৫টায় হ‌ুমায়ূন আহমেদের ৬৯তম জন্মদিন উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে ‘হিমু পরিবহন’ আয়োজন করে ‘হ‌ুমায়ূন জন্মোৎসব’। সেখানেই এ তথ্য জানান আহসান হাবীব।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন হ‌ুমায়ূনপত্নী মেহের আফরোজ শাওন।

উপাচার্য ড. আখতারুজ্জামান বলেন, হুমায়ূন আহমেদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অমূল্য সম্পদ। তিনি মানুষের মনের কথাগুলো তার লেখনিতে নিয়ে এসেছেন। আমাদের তার জীবনী থেকে শিক্ষা নিয়ে আলোকিত মানুষ হওয়ার পরিকল্পনা নিতে হবে।

শাওন বলেন, হ‌ুমায়ূন আহমেদ সম্পর্কে না জেনে অনেকে তার সম্পর্কে অনেক ধরনের কথা বলে, কেউ কেউ তাকে নাস্তিকও বলে থাকে। কিন্তু তিনি একজন বিশ্বাসী মানুষ ছিলেন। হিমু পরিবহনের সদস্যদের কাজ হবে মানুষের সামনে এটা তুলে ধরা যে হ‌ুমায়ূন আহমেদ নাস্তিক ছিলেন না, তিনি একজন বিশ্বাসী মানুষ ছিলেন।

আহসান হাবীব বলেন, মূলত দাদার (হ‌ুমায়ূন আহমেদ) হিমু চরিত্রটি বাবার ছিল। বাবা সকালে ওঠে বিকট শব্দ করে মুখের মধ্যে আঙুল দিয়ে মুখ ধুতেন, হিমুর নাটকে হিমুও তাই করত। একদিন হিমু যে বাবার চরিত্র– একথা দাদাকে বললে সে সম্মতিসূচক হাসি হেসেছিল।

হিমু পরিবহনের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য সম্পর্কে সংগঠনের নেতারা বলেন, হিমু পরিবহনের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে একটি ক্যান্সার হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করা। এছাড়াও ৪৭টি জেলায় হিমু পরিবহনের শাখার মাধ্যমে ১২টি পাঠাগার থেকে নিয়মিত বই পড়তে দেওয়া হয়। এছাড়াও তারা বৃক্ষ রোপণ ও প্রত্যেক শুক্রবার কার্জন হলে পাঠচক্র করে। আজকে সকাল ৬টায় হিমু পরিবহনের সদস্যরা খালি পায়ে হেঁটে নুহাশ পল্লী যান এবং সেখানে হ‌ুমায়ূন আহমেদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।