ছবিটি নির্মানে যারা নুহাশের পাশে ছিলেন তাদেরকে ধন্যবাদ নিয়ে বক্তব্য শুরু করেন তিনি। এসময় তিনি বলেন, আমি কখনও বিখ্যাত হতে চাইনি। আমি সবসময় মানুষের কাছাকাছি থাকতে চেয়েছি।
কীভাবে এই চলচ্চিত্র নির্মানে ব্যয় করলেন সেই প্রশ্নের উত্তরে নুহাশ বলেন, প্রথম চলচ্চিত্র নির্মানের সময় কেউ টাকা দিতে চায় না। আবার অনেকে বলেছিল, হুমায়ুন আহমেদের ছেলের আবার টাকার কী দরকার। পরে বন্ধুদের সহায়তায় এই ছবিটি তৈরি করি আমি।
গল্পটি যখন লিখছিলাম তখন আমি ভীষণ হতাশায় ভুগছিলাম। আমি তখন এর কোনও নামও দিতে পারিনি, কিন্তু এটা নিরাশ হওয়ার গল্প, একটি অচলাবস্থার কাহিনি। এমনকি এই গল্পের চিত্রায়ন ছিল এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার ওষুধের মতো। প্রত্যেকে নির্মাতারই কিছু বড় এবং ছোট কাজ থাকে, কিন্তু একটা জিনিস দিয়ে অবশ্যই শুরু করা যায়। আর তা হলো পরিবার এবং বন্ধুদের সাহায্য। পেপারফ্রগ আমার কাছে এমনই একটা বিষয়। আমাদের প্রফেশনাল নন প্রফেশনাল মিলিয়ে একটি ভালো সমন্বয় ছিল।
সবশেষে আমি বলতে পারি পেপারফ্রগ একটি শর্টফিল্ম। আমি চাই মানুষ দেখুক এবং উপভোগ করুক। আমার মনে হয়না এটা শুধুমাত্র ডিপ্রেশন নিয়ে বানানো। আমি মানুষকে অনুপ্রেরণা দিতে চাই নতুন সৃজনশীল কাজ করার জন্য আরও বেশি করে। কারণ এটা প্রমাণিত যে, কম বাজেটেও অনেক ভালো কিছু তৈরি করা সম্ভব।