সান্ধ্যকালীন এ সেশনে বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান, অধ্যাপক সামিয়া হক এবং সুফি তাত্ত্বিক সৈয়দ সাইফুদ্দিন আহমেদ মাইজভাণ্ডারি। সুমন রহমানের সঞ্চালনায় তারা বাঙালি মুসলমানের মানসিক বিবর্তন নিয়ে আলোচনা করেন।
আলোচনা শুরু করেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সামিয়া হক। ‘বাঙালি মুসলমান’ কথাটিকে একটি ‘জেনেরিক’ বা সাধারণ ধারণা হিসেবে অভিহিত করে তিনি বলেন, ‘আধুনিক তরুণ-তরুণীদের মধ্যে এই সাধারণীকৃত ধারণার পরিবর্তন ঘটছে। কারণ, ষাটের দশকের সংকট আর এখনকার সংকট একরকম নয়।’ তিনি বলেন, ‘বাঙালি ও মুসলমান- দু’টি বিষয়কে এক করে দেখতে হবে। বাঙালি ও মুসলমানের এই যে দোলাচাল চলে আসছে, তাকে গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে।’
আহমদ ছফার রচনার পটভূমি ব্যাখ্যা করে অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান বলেন, ‘বাঙালি মুসলমান আসলে কোনও জাতিগোষ্ঠী নয়। এটি একটি বিশেষ শ্রেণির নাম, যারা মুসলমান ও বাংলায় কথা বলেন এবং এ নিয়ে হীনমন্যতায় ভোগেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাঙালি ও মুসলিম জনগোষ্ঠীর শোষিত শ্রেণির একটি বিশেষ অংশ, যাদের হীনমন্যতার অবসান হয়নি, তারাই এই বাঙালি মুসলমান। সময় বদলালেও এই হীনমন্যতার সংকটের অবসান হয়নি। এর কারণেই সব স্তরে বাংলা ভাষার দুরাবস্থা এখনও কাটেনি।’
বাংলায় মুসলমানের আগমনের ইতিহাস তুলে ধরে সৈয়দ সাইফুদ্দিন আহমেদ মাইজভাণ্ডারি বলেন, ‘এ অঞ্চলে ইসলাম ধর্মের আগমন ঘটেছে সুফি সাধকদের মাধ্যমে। তাই বাঙালি মুসলমানের স্বরূপ বিবেচনা করতে এই ঐতিহাসিক সত্য বিবেচনায় রাখতে হবে।’
আরও পড়ুন-
আদোনিসের হাতে ‘মুজিব’ গ্রন্থ
আমি মানুষের পক্ষের কবি: আদোনিস
বাংলার নারীরা সাহসের সঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছে