লিট ফেস্টে সুকুমার রায়!

নজরুল মঞ্চে বটতলার পরিবেশনায় সুকুমার রায়ের নাটকের মঞ্চায়ন‘ঢাকা লিট ফেস্ট ২০১৭’-এর দ্বিতীয় দিনটি ছিল শিশুদের কলরবে মুখর। শিশুদের জন্য বৈচিত্র্যময় সব আয়োজন ছিল এদিন বাংলা একাডেমির এখানে-সেখানে। এরই ধারাবাহিকতায় দুপুর ২টায় নজরুল মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় উপমহাদেশের জনপ্রিয় শিশুসাহিত্যিক সুকুমার রায়ের গল্প অবলম্বনে মঞ্চ নাটক। নাট্যদল বটতলার পরিবেশনায় সুকুমারের গল্প ধরে পরিবেশিত এই নাটকে উঠে আসে কিভাবে বাণিজ্যিক ও কর্পোরেট স্বার্থে বিলিন হচ্ছে জীববৈচিত্র্য।
‘হেশোরাম হুশিয়ারের ডায়েরি’ গল্প অবলম্বনে তৈরি করা হয় নাটকটির নাট্যরূপ। তবে সেখানে সুকুমার রায়ের গল্প-কবিতার ‘ড্যাশ গরু’র মতো অন্যান্য চরিত্রগুলো উঠে আসে মঞ্চে। গল্পটির নাট্যরুপ ও নির্দেশনা দিয়েছেন ইভান রিয়াজ।
সুকুমার রায়ের নাটকের সূত্রে মঞ্চে উপস্থিত সব অদ্ভুত চরিত্রমঞ্চ নাটকটি সম্পর্কে বটতলার প্রধান নির্বাহী সামিনা লুৎফা নিত্রা বলেন, ‘সুকুমার রায়ের গল্পে আমরা অদ্ভুত কিছু প্রাণীর উপস্থিতি দেখতে পাই। এই গল্পে হুঁশিয়ার চরিত্রটির কাজ বিভিন্ন অদ্ভুত প্রাণীগুলোকে খুঁজে বের করা। তবে প্রকৃতি নিয়ে ব্যবসা করে- এমন একটি দুর্বৃত্ত দলের কাছে ধরা পরে অদ্ভূত বৈচিত্র্যপূর্ণ প্রাণী ড্যাশ গরু। দুর্বৃত্তরা ড্যাশ গরুকে বিক্রি করার চেষ্টা করে। এছাড়া তারা অন্যান্য বিচিত্র প্রাণীগুলোকে বিক্রি করে ব্যবসা করতে চেষ্টা করে। তখন হেসো রামও তার দল ড্যাশ গরুকে উদ্ধার করে সব পরিকল্পনা নষ্ট করে দেয়। এর মধ্য দিয়েই মঞ্চে হাজির হয় বিচিত্র সব প্রাণী, যেগুলো দেখতে আমাদের বাস্তবে দেখা প্রাণীগুলোর মতো নয়।’
এসময় তিনি সুকুমার রায় সম্পর্কে বলেন, ‘সুকুমার রায় আমাদের সামনে অসাধরণ এক কল্পনার জগত খুলে দেন। তার এই জগত শিশুদের আবদ্ধ চিন্তার দ্বারকে খুলে দেয়। তিনি এমনভাবে তার কল্পনার জগত তৈরি করেন যেন শিশুরা স্বাধীনভাবে কিছু ভাবতে ও চিন্তা করতে সক্ষম হয়।’
নাটক শুরু হওয়ার আগেই শিশুদের মিলনমেলায় পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে নজরুল মঞ্চের চারপাশ। নাটক শুরু হতেই মঞ্চে উঠে আসে সুকুমার রায়ের কল্পনার সেই অদ্ভুত চরিত্রগুলো। আর সেগুলোর উপস্থিতি শিশুদের একদিকে যেমন মুগ্ধ করে, তেমনি তাকে বিস্মিতও করে।