সত্যিকারের নাটক মঞ্চস্থ হয় দর্শকদের হৃদয়ে

কথা বলছেন স্যার ডেভিড হেয়ারসমসাময়িক ও চলচ্চিত্র শিল্পে অন্যতম পরিচিত নাম ব্রিটিশ নাট্যকার স্যার ডেভিড হেয়ার। তার আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ ‘দ্য ব্লু টর্চ’-এর শিরোনাম নিয়েই তাকে নিয়ে লিট ফেস্টের শেষ দিনে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল একটি সেশন। সাহিত্যিক ও অনুবাদ এবং প্রকাশনা সংস্থা দ্য বেঙ্গল লাইটসের কর্ণধার খাদেমুল ইসলামের সঞ্চালনায় নিজের আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ এবং সমকালীন রাজনীতি ও সাহিত্য আন্দোলন নিয়ে আলোচনা করেন হেয়ার।

১৯৪৭ সালে যুক্তরাজ্যের সাসেক্সে জন্ম নেন ডেভিড হেয়ার। নাট্যকার হিসেবে বিশ্বখ্যাতির পাশাপাশি চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্য লেখিয়ে হিসেবেও তিনি পরিচিত। তার ‘দ্য ব্লু টর্চ’ বইটি সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে। এই বইয়ের পটভূমি তুলে ধরেই সেশনে আলোচনার শুরু করেন হেয়ার। বলেন, কিভাবে তিনি একজন লেখক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছেন, সেই গল্পই উঠে এসেছে এই বইয়ে। একইসঙ্গে তিনি জানান, লেখালেখি শুরুর পর নাট্যকার হিসেবে তার পথচলা শুরু বামপন্থাকে কটাক্ষ করতে গিয়ে।

এভাবেই নিজের জীবন ও সাহিত্যকর্ম নিয়ে আলোচনা করেন হেয়ার। জানান, শিক্ষাজীবনের শুরু থেকেই বৃত্তির টাকায় পড়ালেখা করেছেন তিনি। এসময় খাদেমুল ইসলাম মনে করিয়ে দেন, ইউরোপীয় ও ইউরোপীয় নয়- এমনদের কাছ থেকে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই রকম চিত্র পাওয়া যায়। তবে ডেভিড হেয়ারের বর্ণনায় সম্পূর্ণ ভিন্ন এক কেমব্রিজের চিত্রই পাওয়া যায়।

এক পর্যায়ে আলাপচারিতা মোড় নেয় নাটকের দিকে। নাটক ও মঞ্চ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে হেয়ার বলেন, ‘অধিকাংশ নাট্যকার যে ভুলটি করেন, তা হলো- তারা মনে করেন নাটক সংঘটিত হয় মঞ্চে। কিন্তু আসল নাটক মঞ্চস্থ হয় মঞ্চের বাইরে, দর্শকদের হৃদয়ে।’ যেসব নাটক সমাজের প্রতিনিধিত্ব করে সেসব নাটকই তার প্রিয়। তবে উত্তরাধুনিক পারফরমেন্স আর্ট নাটকের একটি নতুন সংস্করণ নিয়ে হাজির হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন ডেভিড হেয়ার।

আলোচনা শেষে দর্কদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন এই ব্রিটিশ নাট্যকার।