চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘আমি অনিরুদ্ধ কুমার রায়, ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আরএমএম গ্রুপ। আমি ব্যবসায়িক প্রতিহিংসার শিকার। আমার ব্যবসায়িক অংশীদার মহিউদ্দিন আহমেদ মাহিন গং আমার প্রতিষ্ঠিত তিনটি প্রতিষ্ঠান আরএমএম লেদার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, আরএমএম নিট ক্লথিং লিমিটেড ও আরএমএম সোয়েটার লিমিটেড (যার সম্পদের মূল্য ১৫০ কোটি টাকার অধিক) হস্তগত করার জন্য হেন কোনও কাজ নেই, যা করেননি। ২৭ আগস্ট গুলশান-১-এর ইউনিয়ন ব্যাংক থেকে মিটিং শেষে ফেরার পথে বিকাল সাড়ে চারটায় ওই বিল্ডিংয়ের নিচ থেকে আমাকে অপহরণ করা হয়। সম্ভবত ব্যবসায়িক প্রতিহিংসার কারণে এমনটা হয়েছে বলে আমি আশঙ্কা প্রকাশ করি।’
ক) আমার মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান এলআইবি-এর শিপমেন্ট সার্টিফিকেট প্রদানে বিএফএলএলএফইএ এর চেয়ারম্যান হিসেবে অনৈতিকভাবে বাধা প্রদান
খ) নিয়ম বহির্ভূতভাবে অন্য কোম্পানি থেকে পাওনা ৫ কোটি টাকা কোম্পানির অ্যাকাউন্টে জমা দেওয়ার পরিবর্তে নিজের নামে গ্রহণ
গ) ফ্যাক্টরির শ্রমিকদের হুমকি দেওয়াসহ বিরূপ পরিস্থিতির সৃষ্টি করা
ঘ) আমার অনুপস্থিতিতে আমার অনুমতি ব্যতিরেকে আমার অফিস কক্ষ থেকে জরুরি নথিপত্র অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া উল্লেখযোগ্য।
অপহরণ করার পর তারা আমার সমুদয় সম্পত্তি লিখে দেওয়ার জন্য নানাবিধভাবে চাপ প্রয়োগ করে কিন্তু আমি তা দৃঢ়তার সঙ্গে মোকাবিলা করি এবং সৃষ্টিকর্তার কৃপায় গত ১৭ নভেম্বর বাসায় ফিরি।’
চিঠিতে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ন্যায়বিচার ও নিরাপত্তা চেয়ে লেখেন, ‘আমি গণতন্ত্রের মানসকন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে এই ঘটনার ন্যায়বিচার এবং আমার অর্জিত প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা, উচ্চতর প্রশিক্ষণ, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সুদীর্ঘ ব্যবসার সুরক্ষাসহ সুস্থ-স্বভাবিক জীবনে ফিরে আসা ও ব্যক্তিগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আকুল আবেদন জানাচ্ছি।’
উল্লেখ্য, গত ২৭ আগস্ট গুলশানের ইউনিয়ন ব্যাংক থেকে বের হয়ে গাড়িতে ওঠার সময় সাত থেকে আটজন লোক এসে নিজেদের একটি গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য পরিচয় দিয়ে মাইক্রোবাসে করে নিয়ে যান। নিখোঁজ হওয়ার ৮১দিন পর গত ১৭ নভেম্বর তিনি নিজেই বাড়ি ফেরেন।
আরও পড়ুন:
নিখোঁজের ৮১ দিন পর বাড়ি ফিরলেন ব্যবসায়ী অনিরুদ্ধ রায়