আপন জুয়েলার্সের তিন মালিককে কেন জামিন নয়

আপন জুয়েলার্সের মালিক তিন ভাই মানিলন্ডারিংয়ের মামলায় আপন জুয়েলার্সের তিন মালিক দিলদার আহমেদ, গুলজার আহমেদ ও আজাদ আহমেদকে কেন জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

বুধবার (২২ নভেম্বর) পৃথক পাঁচটি আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। দুই সপ্তাহের মধ্যে ঢাকার জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে সরকারকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগে রাজধানীর চার থানায় আপন জুয়েলার্সের মালিক তিন ভাইয়ের বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলা করে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর। এসব মামলায় কারাগারে রয়েছেন তিন ভাই।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এএম আমিন উদ্দিন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ফরহাদ আহমেদ।

পরে আইনজীবী আমিন উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, আপন জুয়েলার্সের মালিকদের বিরুদ্ধে অর্থপাচারের মামলা হওয়ার কথা নয়। কারণ, তাদের বিরুদ্ধে চোরাচালানের অভিযোগ করা হয়েছিল। এছাড়াও তাদের (তিন মালিক) একটি দোকানের বিষয়ে শুল্ক আইনে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। বিষয়টি নিয়ে একটি রিটও চলমান রয়েছে। অথচ এগুলো প্রক্রিয়াধীন থাকা সত্ত্বেও তাদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হলো। 

তিনি আরও বলেন, বিচারিক আদালতে আপন জুয়েলার্সের তিন মালিকের পক্ষে আবেদন করা হলেও তাদের জামিন মেলেনি। এর প্রেক্ষিতে হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন করা হয়। আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুল জারি করেন। একইসঙ্গে দুই সপ্তাহ পর বিষয়টি কার্যতালিকায় এলে রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেলকে এ নিয়ে শুনানি করতে বলা হয়েছে।

গত ১২ আগস্ট রাজধানীর চার থানায় আপন জুয়েলার্সের মালিকদের বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলা করে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর। চোরাচালানের মাধ্যমে আনা প্রায় ১৫ মণ সোনা ও হীরা আটক এবং এসব মূল্যবান সামগ্রী কর নথিতে উল্লেখ না করে গোপন রাখার অপরাধে তাদের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলাগুলো করা হয়।

বনানীর রেইনট্রি হোটেলে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া দুই ছাত্রীকে জন্মদিনের পার্টির কথা বলে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে সেলিমের ছেলে সাফাত আহমদ ও তার সহযোগী। এরপর আপন জুয়েলার্সের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে ব্যবসার অভিযোগ উঠলে মাঠে নামে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর।