প্রতারণার দায়ে শাহজালালের বেসরকারি নিরাপত্তাকর্মী গ্রেফতার

আটক সিরাজহযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকায় যাত্রীর স্বজনের সঙ্গে প্রতারণা করে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে বিমানবন্দরের একটি বেসরকারি নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠানের এক কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) জানায়, বিদেশযাত্রীদের স্বজনদের কাছ থেকে প্রতারণা করে টাকাপয়সা হাতিয়ে নেয় বিমানবন্দর এলাকায় কয়েকটি চক্র সক্রিয় রয়েছে। সোমবার এমনই একটি চক্রের এক সদস্যকে গ্রেফতার করে সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম বিভাগ। প্রায় ৯ মাস আগের এমন একটি প্রতারণার ঘটনায় তাকে গ্রেফতার করা হয়।

সিআইডির সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার শারমিন জাহান বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, গত ১৭ মার্চ মোহাম্মদপুরের আবুল বাশার নামের এক ব্যক্তি তার ছেলেকে এগিয়ে দিতে বিমানবন্দরে যান। ছেলেকে বিমানবন্দরে দিয়ে বের হয়ে আসার সময় জাবেদ নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে তার পরিচয় হয়। এসময় জাবেদ আলাপচারিতায় আবুল বাশারের ফোন নম্বর ও পারিবারিক কিছু তথ্য জেনে নেয়। তিনি বিমানবন্দর থেকে বের হয়ে আসার পর তার মোবাইলে ফোন দেয় প্রতারক চক্রটির সদস্যরা। তার ছেলের ইমিগ্রেশনে সমস্যা হয়েছে, বিদেশ যাওয়া বন্ধ করে দেওয়া হবে ইত্যাদি বলে প্রতারক চক্রটি তাকে ভয়ভীতি দেখায়। এক পর্যায়ে তারা বিকাশে মোটা অংকের টাকা দাবি করে। সে অনুযায়ী টাকা দেন আবুল বাশার।

পরে ছেলে বাহরাইনে পৌঁছানোর পর তার কাছে আবুল বাশার জানতে চান, শাহজালাল বিমানবন্দরে কোনও ঝামেলা হয়েছিল কিনা? তখন ছেলে জানান, তার সঙ্গে কোনও ঝামেলা হয়নি। নিয়মমতো সব প্রক্রিয়া শেষ করে সহজেই বাহরাইনে যেতে পেরেছেন। তখন আবুল বাশারের ওই বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ হয়। তিনি বুঝতে পারেন প্রতারিত হয়েছেন।

সিআইডির সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার শারমিন আরও জানান, এরপর আবুল বাশারের ভাগনে মাহমুদুল হাসান বাদী হয়ে ১৮ জুলাই মোহাম্মদপুর থানায় একটি মামলা করেন। এরপর সিআইডি তদন্তে নামে।

সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম গত ১ নভেম্বর প্রতারক জাবেদ হোসেনকে গ্রেফতার করে। তার বাড়ি গাজীপুরের জয়দেবপুরে। জাবেদ গত ৪ নভেম্বর তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়। এতে সিরাজুল ইসলাম ওরফে সিরাজ ওরফে কোমল (৩৯) নামের এক ব্যক্তির তথ্য আসে। তদন্তকারী কর্মকর্তাও তদন্তে সিরাজের নাম পান। এরপর সোমবার বিকালে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকা থেকে সিরাজকে গ্রেফতার করা হয়। সে বিমানবন্দরের এমকে ট্রেডার্স সিকিউরিটি সার্ভিসেস নামের একটি প্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে ৫-৭ বছর ধরে কর্মরত রয়েছে।

তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানান সিনিয়র এএসপি শারমিন।