শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা: উত্তীর্ণদের মেধা তালিকা প্রস্তুতের নির্দেশ হাইকোর্টের

 





সুপ্রিম কোর্টবেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের জন্য নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের নিয়ে ৯০ দিনের মধ্যে একটি জাতীয় মেধা তালিকা করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে এই নিয়ম অনুযায়ী সংশ্লিষ্টদের সনদ দিতে বলা হয়েছে। সনদধারীদের নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত সনদ বহাল থাকবে বলেও নির্দেশনা দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) এ সংক্রান্ত রিটে বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহ’র সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এই রায় দেন। আদালতে রিট আবেদনকারীদের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন ব্যারিস্টার এম. আমীর-উল ইসলাম, ব্যারিস্টার এবিএম আলতাফ হোসেন, অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবির, অ্যাডভোকেট ইশরাত জাহান ও সাহাবুদ্দিন লার্জ। এছাড়া, এনটিআরসিএ’র পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার কাজী মাইনুল হাসান।
এর আগে নিবন্ধন সনদধারী সিরাজগঞ্জের লিখন কুমার সরকারসহ বিভিন্ন জেলার কয়েক হাজার ব্যক্তি হাইকোর্টে কয়েকটি রিট আবেদন করেন।

ওই রিটের শুনানি নিয়ে গত ২৮ মে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রথম থেকে ১২তম নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সনদধারীদের মেধাতালিকা প্রস্তুত ও প্রকাশের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে সারাদেশের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের শূন্য পদের তালিকা জমা দেওয়ার নির্দেশনার পাশাপাশি রুল জারি করেন আদালত।

এরপর আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী গত ৩০ জুলাই এনটিআরসিএ কর্তৃপক্ষ আদালতে একটি প্রতিবেদন দিয়ে জানায় যে,পদ ও বিষয়ভিত্তিক ২২ হাজার ৫৬৭টি পদ শূন্য রয়েছে। এ অবস্থায় রুলের ওপর শুনানি শেষে সাতটি নির্দেশনাসহ বৃহস্পতিবার রায় দেন আদালত।

রায়ে দেওয়া সাত দফা নির্দেশনায় বলা হয়- (১) নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের সনদ দিতে হবে। নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত সনদ বহাল থাকবে। (২) রায়ের কপি পাওয়ার পর থেকে ৯০ দিনের মধ্যে উত্তীর্ণদের নিয়ে একটি জাতীয় মেধা তালিকা করতে হবে। এ তালিকা এনটিআরসিএ’র ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে। (৩) একটি জাতীয় মেধা তালিকা করতে হবে। বিভাগ, জেলা, উপজেলা বা জাতীয় তালিকা নামে কোনও তালিকা করা যাবে না। (৪) এনটিআরসিএ প্রতিবছর মেধা তালিকা হালনাগাদ করবে। (৫) সম্মিলিত মেধা তালিকা অনুযায়ী রিট আবেদনকারী এবং অন্য আবেদনকারীদের নামে সনদ জারি করবে। (৬) নিয়োগের জন্য এনটিআরসিএ কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বরাবর যদি কোনও সুপারিশ করে তবে কপি পাওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে তা বাস্তবায়ন করতে হবে। অন্যথায়, ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্য গঠিত ব্যবস্থাপনা কমিটি বা গভর্নিং কমিটি বাতিল করবে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ড। (৭) বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা নির্ধারণ করতে শিগগিরই পদক্ষেপ নেবে সরকার।