ষোড়শ সংশোধনীর রিভিউ শুনানিতে আন্তর্জাতিক আইনজীবী নিয়োগের আবেদন

ষোড়শ সংশোধনী

উচ্চ আদালতের বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে ন্যস্ত করে আনা সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণার রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ শুনানিতে আন্তর্জাতিক আইনজীবী নিয়োগ চেয়ে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে।

সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) ষোড়শ সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা রিটকারীদের অন্যতম আইনজীবী এখলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া এই আবেদন করেন।

পরে এখলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, ‘আবেদনে ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রিভিউ শুনানিতে ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টের বিশিষ্ট আইনজ্ঞ অ্যাডভোকেট আগারওয়াল আমবুজ, অ্যাডভোকেট আগারওয়াল অনামিকা গুপ্তা ও অ্যাডভোকেট অধিমোলাম ভেংকটারমনকে নিয়োগের অনুমতি চাওয়া হয়। আবেদনটি পাওয়ার ১০ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনাও প্রার্থনা করা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘রাষ্ট্রপক্ষ স্বল্প সময়ের মধ্যে এ মামলার রায় রিভিউ চেয়ে আবেদন করবেন। মামলাটি জনগুরুত্বপূর্ণ। এজন্য তিন জন আন্তর্জাতিক মানের সংবিধান বিশেষজ্ঞ আইনজীবীর জন্য আবেদন করেছি। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে। তারা আমাকে এ মামলার বিষয়ে সহযোগিতা করবেন।’

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। রিট আবেদনকারীদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।

এর আগে উচ্চ আদালতের বিচারকদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের কাছে ফিরিয়ে নিতে ২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী আনা হয়। বিলটি পাসের পর একই বছরের ২২ সেপ্টেম্বর তা গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়।

সুপ্রিমকোর্টের ৯ জন আইনজীবী ওই সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে একই বছরের ৫ নভেম্বর হাইকোর্টে এই রিট আবেদন করেন। প্রাথমিক শুনানির পর রুল জারি করা হয়। একই সঙ্গে ওই সংশোধনী কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়।

ওই রুলের ওপর ২০১৫ সালের ২১ মে শুনানি শুরু হয়। সেই রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন হাইকোর্টের তিন সদস্যের বিশেষ বেঞ্চ সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীকে অবৈধ ঘোষণা করেন।

রায়ে বলা হয়, সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ও সংবিধান পরিপন্থী। সংসদে বিচারপতি অপসারণের বিধান একটি দুর্ঘটনা মাত্র।